Download: Constitution of KIB
Krishibid Instituion Bangladesh
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (পরম দয়ালু আল্লাহর নামে)
প্রস্তাবনা
যেহেতু ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলা কৃষি গ্র্র্যাজুয়েটদের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ একটি সমিতি গঠনের প্রত্যাশায় ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানী সম্মেলনে (Scientist Convention) মিলিত হয়ে “ইষ্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল এসোসিয়েশন” নামে একটি ‘এসোসিয়েশন’ গঠন করেন।
যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ২রা জানুয়ারি কৃষি ভবন প্রাঙ্গণ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি” নামে এসোসিয়েশনের নতুন নামকরণ করা হয়।
যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের (অনুচ্ছেদ নং ৩৮ দ্রষ্টব্য) আওতায় একটি সমিতিতে সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার ও সুযোগও সমুন্নত করা হয়েছে। যেহেত ুকয়েকজন কৃষি গ্র্যাজুয়েট তাদের স্বাক্ষরসহ আবেদন করে যে, ‘এসোসিয়েশন’ পরিচালিত হবে এক গুচ্ছ সম্মত নিয়ম ও বিধি অনুসারে এবং সে লক্ষ্যে একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
যেহেতু ১০ ফেব্রুয়রি ১৯৭৩-এ অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ সাধারণ সভায় গঠিত অপর একটি উপ-কমিটি কর্তৃক ঐ খসড়া গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করা হয়।
অতএব, ঐ সমস্ত আশা-আকাঙ্খা ও ক্রিয়া সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সনের ১২ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”র গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয় যা ঐদিন ১৯৭৩ সনের ১২ এপ্রিল থেকে সমগ্র বাংলাদেশে নিজেদের জন্য কার্যকর বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন অধ্যায় ও বিধিতে সংশোধনী আনয়ন করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নাম পরিবর্তন। বিগত ২০ জানুয়ারি ১৯৮১ তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”-এই নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন করা হয়। এরপর ০৫.০৩.১৯৯২ তরিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নামের শব্দমালার পুনর্বিন্যাস ঘটিয়ে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ রাখা হয় এবং পরের বছর ১৯৯৩ সালের ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় নামের ইনস্টিটিউশন ও বাংলাদেশ শব্দ দ্বয়ের মধ্যে কমা ব্যবহার করে সংশোধন করা হয় ও তা লোগোসহ সর্বত্র ব্যবহার করা হয়।
গত ১৯-০৯-২০১৪ সালের সাধারণ সভায় ইনস্টিটিউশন ও বাংলাদেশ শব্দদ্বয়ের মধ্যে ব্যবহৃত কমা বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হয় এবং তা ‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ নাম ধারণ করে।
প্রথম অধ্যায়
স্মারকলিপি
১। নাম
ইনস্টিটিউশনের নাম “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ” পরবর্তীতে এই গঠনতন্ত্রে যা ইনস্টিটিউশন বলে উল্লিখিত হবে।
২। কেন্দ্রীয় কার্যালয়
ইনস্টিটিউশনের নিবন্ধিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় ইনস্টিটিউশন চত্বর কৃষি খামার সড়ক, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫-তে অবস্থিত থাকবে।
৩। ভাষা
ইনস্টিটিউশনের দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা। তবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার এবং গঠনতন্ত্রের ইংরেজি সংস্করণ প্রচলিত থাকবে।
৪। প্রতীক/মনোগ্রাম
ইনস্টিটিউশনের একটি প্রতীক/মনোগ্রাম থাকবে, যা গঠিত হবে মুখোমুখী সংস্থাপিত ৪(চার)টি ভ্রƒণ ও ৪(চার)টি তীরের সমন্বয়ে। “ভ্রƒণ” উৎপাদনের অর্থ প্রকাশ করে এবং “তীর” অগ্রগতির প্রতীক। লোগোর ভ্রƒণ ও তীরের চার পাশে বাংলায় সংস্থাপিত থাকবে “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ”। নাম, ভ্রƒণ ও তীরের রং হবে যথাক্রমে কালো, সবুজ ও লাল। অভ্যন্তরীণ আধাবৃত্ত বন্ধনরেখা হবে কালো এবং বাহ্যিক বন্ধনরেখা হবে লাল রঙের। মনোগ্রামের একটি নকশাচিত্র মোড়কে সংস্থাপিত করা হয়েছে।
৫। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের বিধি বিধান মোতাবেক বা তদানুসারে কৃষিবিদ, কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকা-ে নিয়োজিত সকলের মর্যাদা রক্ষা, কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধন করা।
খ)কৃষি ও কৃষকের কল্যাণ ও উন্নয়নে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিসহ কৃষির সকল শাখায় বৈজ্ঞানিক সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতি কৃষকের মাঝে অবগত ও হস্থান্তর করা। কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর পরিবেশ বান্ধব কর্মকা- গ্রহণ করা।
গ) দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণ ও উপকরণ সরবরাহসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্যে সম্ভাব্য সেবা প্রদান করা। এতদুদ্দেশ্যে একটি কৃষি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সম্প্র্রসারণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা এবং ইনস্টিটিউট কর্তৃক সময়ে সময়ে আরোপিত শর্ত ও নিয়মানুযায়ী সনদ প্রদান করা।
ঘ) একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজের আওতায় এর সদস্যদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ সুরক্ষা ও সমুন্নত করা এবং সদস্যদেরকে জাতীয়, সামাজিক, ব্যক্তিগত, নৈতিক ও পেশাগত উন্নয়নে তাদের যথার্থ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা।
ঙ) ইনস্টিটিউশনের সদস্যদের মাঝে সহযোগিতা, সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করা, পেশার মান ও মর্যাদা সমুন্নত করা এবং সদস্যদের আচার আচরণ এবং জাতীয় জীবনের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে পেশাগত রীতিনীতি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করা।
চ) আলোচনাসভা, বক্তৃতামালা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন; সাময়িকী, জার্ণাল ও বই-পুস্তুক প্রকাশনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকা-ের মাধ্যমে ইনস্টিটিউশনের সদস্যদেরকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সাহায্য ও উৎসাহ দান এবং উদ্বুদ্ধ করা।
ছ) কৃষির সাথে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং তাদের দুঃখকষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং অনুরূপ কর্মসূচিতে সরকারকে সহযোগিতা করা।
জ) কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকদের সমস্যাবলী চিহ্নিতকরণ ও তা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনে এ বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা।
ঝ) কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন করা এবং পেশাগত সকল বিষয় ও কৃষিকর্মকা- অনুশীলনে পরামর্শ দান।
ঞ) ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পারস্পরিক কল্যাণে দেশ-বিদেশের অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন/সংস্থার সাথে সহযোগিতা ও সমঝোতা জোরদার করা।
ট) প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত জাতীয় জরুরী পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবা প্রদান।
ঠ) দুঃসময়ে সকল কৃষিবিদ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিপদ-আপদে সম্ভাব্য সেবা প্রদান এবং সে উদ্দেশ্যে কল্যাণ তহবিল সংগ্রহ করা।
ড) ইনস্টিটিউশনের সদস্যদের এবং জনসাধারণের পারস্পরিক কল্যাণ ও সাধারণ স্বার্থে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের কৃষি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ/ইনস্টিটিউটসমূহের সাথে সহযোগিতা করা।
ঢ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কৃষিবিদদের মেধাবী সন্তান-সন্ততিদের বৃত্তি প্রদান করা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কৃষিবিদ, কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষকদের পুরষ্কার এবং পদক প্রদান করা ।
ণ) ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক ও সহায়ক এ ধরনের অন্য সকল কাজ ও করণীয় সম্পাদন করা।
৬। ইনস্টিটিউশনের তহবিল
ইনস্টিটিউশনের চার প্রকার তহবিল থাকবে ক) সাধারণ তহবিলঃ সদস্যদের প্রবেশ ফি এবং জীবন সদস্যদের চাঁদা ব্যতীত অন্যান্য চাঁদা, দান, অনুদান, নগদ জামানতের উপর মুনাফা, সম্পদের আয় সাধারণ তহবিল হিসেবে পরিগণিত হবে যা কোন একটি তফসিলী ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষিত থাকবে।
খ) স্থায়ী আমানত তহবিল ঃ সদস্যদের প্রবেশ ফি ও জীবন সদস্যদের চাঁদা এবং সাধারণ তহবিলের ১০% (শতকরা দশ ভাগ) স্থায়ী আমানত হিসেবে তফসিলী ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হবে।
গ) সংরক্ষিত তহবিলঃ মোট আয়ের ৫% (শতকরা পাঁচ ভাগ) সংরক্ষণ করা হবে। এই তহবিলের অর্থ কেবলমাত্র ইনস্টিটিউশনের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।
ঘ) কল্যাণ তহবিলঃ কল্যাণ তহবিলের অর্থ দেশের একটি তফসিলভুক্ত ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। সদস্যদের কাছ থেকে বিশেষ দান বা ধার্যকৃত অর্থ এবং অন্যান্য উৎস থেকে উদার সাহায্য গ্রহণের মাধ্যমে কল্যাণ তহবিল সংগ্রহ ও জোরদার করতে হবে এবং উল্লিখিত অর্থ একটি ব্যাংকে স্বতন্ত্র হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি অস্বচ্ছল সদস্যদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করবে।
৭। ইনস্টিটিউশনের শাখাসমূহ
ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এর নিম্নরূপ শাখা কমিটি গঠন করা যাবে-
ক) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত জেলাগুলো কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর জেলা শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে ন্যূনতম ১৫ জন কৃষিবিদকে অবশ্যই কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে।
খ) সরকার কর্তৃক মেট্রোপলিটন (মহানগর) সিটি হিসাবে স্বীকৃত মেট্রোপলিটন এলাকা একটি শাখা হিসেবে গণ্য হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থানরত কেআইবি’র সদস্যের সংখ্যা ন্যূনতম ৫১ জন হতে হবে।
গ) বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গঠন করতে পারবে। তবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেআইবি’র সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ৫১ জন হতে হবে।
ঘ) দেশের বাইরে অবস্থানরত কৃষিবিদগণ শাখা গঠন করতে পারবে। তবে সেখানে কেআইবি’র সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ৫১ জন হতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন অনুসরণপূর্বক বিদেশে অবস্থানরত কেআইবি সদস্যবৃন্দ কেআইবি’র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিদেশী শাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ভোট দানের ক্ষেত্রে এটি প্রজোয্য হবেনা।
৮। সম্পদ ব্যবস্থপনা
ইনস্টিটিউশনের সকল সম্পদ সম্পূর্ণরূপে ন্যস্ত থাকবে সাধারণ পরিষদের (এবহবৎধষ ইড়ফু সংক্ষেপে এই) উপর। এই পরিষদ যেভাবে সঠিক মনে করবে সেভাবে তা বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তরের পূর্ণ ক্ষমতা, এখতিয়ার, দায়িত্বের অধিকারী হবে এবং সাধারণ পরিষদের বা জিবির অনুমোদন ব্যতিরেকে ইনস্টিটিউশনের কোন সম্পত্তি, ভূমি ও এখতিয়ারাধীন সম্পদ বিক্রয় অথবা বন্ধক দান অথবা অন্য কোন রকম হস্তান্তর করা যাবে না। স্বেচ্ছামূলক দান অথবা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত এ ধরনের সম্পত্তি অথবা অর্জিত সম্পদ অথবা আয় বা রাজস্ব যাই হোক না কেন কোন অবস্থাতেই কোন সদস্যের মাঝে কোন লভ্যাংশ, উপহার বা বোনাস হিসেবে প্রদান করা যাবে না এবং এতদ্বারা তা “সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।” ইনস্টিটিউশনের সকল সম্পদ-সম্পত্তি যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে এবং স্টক রেজিস্ট্রারে তা নিয়মানুগভাবে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।
৯। ইনস্টিটিউশনের কার্যক্রম
ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নিম্নোক্ত কর্মকান্ড- পরিচালনা করা হবে- ক) নিয়মিত ও সময়ে সময়ে কৃষি সংশ্লিষ্ট বুলেটিন, জার্ণাল, সাময়িকী ও বই প্রকাশ করা।
খ) কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা সভা, বক্তৃতামালা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।
গ) ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে নতুন ভবন নির্মাণ, উপযুক্ত ভূমি ক্রয় এবং অথবা সম্পত্তি ভাড়া করা বা ভাড়া খাটানো, বন্ধক, বিক্রয় করা।
ঘ) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং কওই (কেআইবি) কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা, এর জনবল কাঠামো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরীবিধি সম্পর্কিত নীতিমালা তৈরি করা।
ঙ) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের অংগ সংগঠন হিসেবে কৃষি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা যাবে যা নির্দিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
চ) ইনস্টিটিউশনের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য অফিস, লাইব্রেরী, রিডিং রুম, ক্লাব, অডিটরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম এবং কেআইবি কমপ্লেক্সে অবস্থিত সকল ভৌত সুবিধা রক্ষণাবেক্ষণ করা। ছ) প্রয়োজনে তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে চাঁদা সংগ্রহ এবং ইনস্টিটিউশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ঋণ গ্রহণ।
জ) ইনস্টিটিউশন কর্তৃক সময়ে সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তহবিলের একটি নির্দিষ্ট অংশ বিনিয়োগ করা।
ঝ) উপযুক্ত স্থানসমূহে ইনস্টিটিউশনের নতুন শাখাসমূহ ও ভবন প্রতিষ্ঠা করা। ঞ) কোন অবস্থায় বা উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউশন কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রচলিত আইনসমূহের সাধারণ আওতা ও প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিপন্থি কোন প্রস্তাব গ্রহণ বা উপবিধি প্রণয়ন করা যাবে না এবং যদি এ ধরনের কোন বিধি বা উপবিধি প্রণয়ন করা হয় তা পুরোপুরি বাতিল বলে গণ্য হবে।
ট) ইনস্টিটিউশন সদস্যদের আর্থিক লাভ বা মুনাফার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত অনুচ্ছেদ ৯-এ উল্লিখিত ব্যবসা ও লেনদেন ব্যতিরেকে অন্য কোন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা লেনদেনে নিয়োজিত হবে না। ইনস্টিটিউশনের কোন সম্পত্তির উপর কোন সদস্যের কোন ব্যক্তিগত দাবী থাকবে না এবং ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (সিইসি) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইনস্টিটিউশন সদস্যদেরকে ঐসব কর্মকা- যেমনঃ ভ্রমণ ও দৈনন্দিন কাজের ভাতা ব্যতিরেকে কোন প্রকার ডিভিডেন্ড অথবা বোনাস অথবা অন্য কোনভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুনাফা হিসাবে কিছ ুদেয়া যাবে না।
ঠ) কেআইবি কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা নীতি ও বিধানাবলী অনুযায়ী কেআইবি কমপ্লেক্স পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ড) ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (সিইসি) এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইনস্টিটিউশন সদস্যদেরকে কোন কর্মকা- পরিচালনার জন্য ভ্রমণ ও দৈনন্দিন ভাতা (টিএ,ডিএ) প্রদান করতে পারবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
নিয়ম ও বিধানাবলী
১০। পরিভাষাসমূহের সংজ্ঞা
ক) ‘ইনস্টিটিউশন’ অর্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ যা সংক্ষেপে ‘কেআইবি, নামে অভিহিত হবে।
খ) ‘গঠনতন্ত্র’ অর্থ সময়ে সময়ে প্রণীত ও গৃহীত ইনস্টিটিউশনের বিধি, বিধান ও উপবিধিসমূহ।
গ) ‘কমিটি’ অর্থ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারে ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সদস্যদের দ্বারা একটি নির্দিষ্ট কার্যকালের জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (সিইসি)।
ঘ) ‘সদস্য’ অর্থ এই অধ্যায়ের ধারা-১৫-এর বিধান অনুসারে যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য বুঝাবে।
ঙ) ‘কাউন্সিল’ অর্থ শাখা-সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পরিষদ। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণও কাউন্সিলর হিসাবে বিবেচিত হবেন। চ) ‘সাধারণ পরিষদ’ অর্থ ইনস্টিটিউশনের সকল সাধারণ ও জীবন সদস্যদের দ্বারা গঠিত একটি পরিষদ।
ছ) ‘নোটিশ বা ‘বিজ্ঞপ্তি’ অর্থ লিখিত, টাইপকৃত বা মুদ্রিত এবং স্বাক্ষরের জন্য যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কোন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি পত্র বুঝাবে।
জ) ‘অর্থ বছর’ অর্থ ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত ১২ (বার) মাসের খৃস্টীয় বছর।
ঝ) ‘সাধারণ সীলমোহর’ অর্থ ইনস্টিটিউশনের প্রতীক খোদাইকৃত একটি সীলমোহর।
ঞ) ‘কার্যকাল’ অর্থ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরপর দুটি ক্যালেন্ডার বর্ষ নিয়ে গঠিত মেয়াদ, যার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়।
ট) ‘কৃষিবিদ’ অর্থ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা হতে ন্যূনতম ¯œাতক বা সমমানের ডিগ্রী প্রাপ্ত এবং বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি বিষয়ে ¯œাতক অথবা ¯œাতকোত্তর (কারিকুল্যাম বিবেচনা করে সিইসি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে) ডিগ্রী প্রাপ্ত একজন ব্যক্তি।
ঠ) ‘শাখা’ অর্থ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গঠিত ইনস্টিটিউশনের একটি শাখা। স্ব স্ব এলাকার সীমানার মধ্যে কর্মরত বা বসবাসরত সকল সাধারণ ও জীবন সদস্যগণ আবশ্যিকভাবে ঐ নির্দিষ্ট শাখায় তালিকাভুক্ত হবেন।
ড) ‘ইনস্টিটিউশন’ বর্ষ অর্থ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর সময় কাল।
ঢ) ‘কর্মকর্তা’ বলতে সভাপতি, সহ-সভাপতি, মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সকল সম্পাদককে বুঝায়।
ণ) ‘নিয়মিত সদস্য’ অর্থ কেআইবি’র নির্ধারিত চাঁদা যথা সময়ে পরিশোধপূর্বক হালনাগাদকৃত সদস্য।
১১। পরিভাষা ও ব্যাখ্যা
ভিন্ন কোন অর্থ থাকলেও ইনস্টিটিউশনের বিষয়াবলীর পরিভাষা ও ব্যাখ্যাসমূহ গঠনতন্ত্রে যেমন বর্ণিত হয়েছে সেভাবেই হবে।
১২। সদস্যপদ নিবন্ধনীকরণ পদ্ধতি
গঠনতন্ত্রের ধারা-১১(ট) মোতাবেক যে কোন কৃষিবিদ আবশ্যকীয় ফি প্রদান করে ইনস্টিটিউশনের সদস্য হতে পারবেন। আবেদনকারীকে ইনস্টিটিউশনের নির্ধারিত আবেদন পত্র যা ‘সদস্য পদের আবেদনপত্র’ পূরণ করে স্থানীয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে অথবা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট গ্রহণযোগ্য প্রকৃত কৃষিবিদ কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সমর্থিত হয়ে নিজ স্বাক্ষরসহ আবেদন করতে হবে। ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব ফিসহ প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে তা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। সভায় অনুমোদিত আবেদনকারীর নাম ইনস্টিটিউশনের নিবন্ধন বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে।
১৩। সম্মানী সদস্য
কৃষি তথা সমগ্রিকভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন এমন ব্যক্তিত্বকে ইনস্টিটিউশনের সম্মানী সদস্য করা যাবে। এক্ষেত্রে এ জাতীয় ব্যক্তিত্বের নাম ইনস্টিটিউশনের অন্তত ২৫(পঁচিশ) জন সদস্য কর্তৃক প্রস্তাবিত হতে হবে। প্রস্তাবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পর মহাসচিব উক্ত ব্যক্তিগণের সম্মতি গ্রহণ করবেন। সাধারণ সভায় সিইসি প্রস্তাবিত সম্মানিত সদস্যগণের নাম অনুমোদনের পরই তা ইনস্টিটিউশনের নিবন্ধন বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে কোন ক্ষেত্রে তার কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
১৪। সদস্যপদ
ইনস্টিটিউশনে দু’ধরনের সদস্য থাকবে। যথাঃ সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য। ক) গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সংজ্ঞানুসারে ইনস্টিটিউশনে নিবন্ধনকৃত সকল কৃষিবিদ এক একজন সাধারণ সদস্য।
খ) ইনস্টিটিউশনে ৫(পাঁচ) বছর যাবত নিষ্ঠা সহকারে অব্যাহতভাবে সেবা দানকারী একজন সাধারণ সদস্য অত্র অনুচ্ছেদের ২২(ক) ধারায় নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে একজন জীবন সদস্য হতে পারেন।
১৫। সদস্যপদ স্থগিতকরন ও পুনঃসদস্যকরণ
ক) কোন সদস্য যিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পরপর দু’বছরের তার চাঁদা পরিশোধ করেননি, ইনস্টিটিউশনে তার সদস্যপদ আপনা আপনি স্থগিত হয়ে যাবে। পুনঃসদস্য পদ প্রাপ্তির
জন্য তাঁকে সমুদয় বকেয়া চাঁদাসহ পূর্ণ প্রবেশ ফি পরিশোধ করতে হবে, তবে অতি বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তার আংশিক অথবা সমুদয় বকেয়া মওকুফ করে দিতে পারবে।
খ) কোন সদস্যের দুই পঞ্জিকা বর্ষের বার্ষিক চাঁদা অপরিশোধিত থাকলে তিনি সংশ্লিষ্ট মেয়াদ/কার্যকালের জন্য ইনস্টিটিউশনের কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার যোগ্যতা হারাবেন, নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না এবং ইনস্টিটিউশন প্রদত্ত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন।
গ) কৃষিবিদদের কোন গ্রুপ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সমান্তরাল কোন এসোশিয়েসন গঠন করলে ঐসব কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যপদ হারাবেন।
১৬। সদস্যপদ বাতিল
মৃত্যু, পদত্যাগ ও বহিস্কারের ক্ষেত্রে সদস্যপদ আপনা আপনিই বাতিল হয়ে যাবে।
১৭। পদত্যাগ
যে কোন সাধারণ বা জীবন সদস্য সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে মহাসচিবের উদ্দেশ্যে কারণ বর্ণনাসহ লিখিতভাবে তার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। মহাসচিব সিদ্ধান্তের জন্য তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে পেশ করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদন ও গ্রহণের তারিখ থেকে পদত্যাগ কার্যকর হবে। অবশ্য, সংশ্লিষ্ট সদস্য ইচ্ছা করলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে গৃহীত হবার পূর্বে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।
১৮। সদস্যপদ থেকে বহিস্কার
ইনস্টিটিউশনের অন্তত ২০(বিশ) জন সদস্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে তার ইনস্টিটিউশনের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি বহিস্কারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন। এ ধরনের ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তির পর এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটি গঠনের দাপ্তরিক বিজ্ঞপ্তি জারীর তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। দায়ী ব্যক্তিকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে বা লিখিতভাবে তার আচরণ ব্যাখ্যা বা সমর্থনের জন্য অনধিক তিন সপ্তাহের একটি যুক্তিসঙ্গত সময় দেয়া হবে। চূড়ান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউন্সিল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে দোষী ব্যক্তিকে বহিষ্কার পর্যন্ত শাস্তি প্রদান করতে পারবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি আবশ্যকীয় মনে করলে তার সদস্যপদ যে কোন মেয়াদের জন্য স্থগিত করতে পারবে। অবশ্য অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা পূনর্বিবেচনার জন্য মহাসচিবের কাছে আবেদন জানাতে পারেন।
১৯। সদস্যদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা
সাধারণভাবে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে ইনস্টিটিউশনের যাবতীয় বিষয়ে প্রত্যেক সদস্য সমানাধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এবং ইনস্টিটিউশনের যাবতীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করবেন।
২০। ফি ও বার্ষিক চাঁদা
ক) প্রত্যেক সাধারণ সদস্যকে ১০০.০০(একশত) টাকা নিবন্ধন ফি এবং ৩০০.০০(তিনশত) টাকা বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। পক্ষান্তরে জীবন সদস্যপদের জন্য ৫০০০.০০(পাঁচ হাজার) টাকা এককালীন পরিশোধ করতে হবে। সদস্য সনদপত্র ফি ১,০০০.০০(এক হাজার) টাকা। কোন সদস্যের নিকট বকেয়া পাওনা থাকলে তা সনদপত্র ফি’র সাথে পরিশোধ করতে হবে।
খ) কেআইবি এর কোন সদস্যকে কেআইবি কমপ্লেক্সের কোন সুযোগ গ্রহণ করতে হলে তাকে জীবন সদস্য ও নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী সদস্য হতে হবে।
তৃতীয় অধ্যায়
ইনস্টিটিউশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা
২১। সার্বিক ব্যবস্থাপনা
ইনস্টিটিউশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ন্যস্ত থাকবে কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপর।
২২। কাউন্সিল
ইনস্টিটিউশনের প্রত্যেক শাখার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল থাকবে। শাখায় নির্বাচনের সাথে একত্রে প্রতি ২০(বিশ) জন সদস্য বা তার ভগ্নাংশের জন্য একজন কাউন্সিলর নির্বাচন করতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে কাউন্সিলের সদস্য হবেন। কাউন্সিলের কার্যকাল হবে দুই ইনস্টিটিউশন বছর। ইনস্টিটিউশনের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য প্রথম বছরের শুরুতে অন্তত একবার অধিবেশন বসবে। নিরীক্ষিত হিসাব রিপোর্ট অনুমোদন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মকা- ও ২৪(জ) ধারায় বর্ণিত অন্যান্য কর্মকা- মূল্যায়নের জন্য কার্যকালের শেষ দিকে আরেকবার কাউন্সিল অধিবেশন বসবে।
ক) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলের সভাপতি হবেন এবং কাউন্সিলের অধিবেশনসমূহে সভাপতিত্ব করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং তার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতিগণের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজন সহ-সভাপতি এবং তাঁদের অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত একজন সিনিয়র সদস্য কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলের সভাপতি হবেন এবং কাউন্সিলের অধিবেশনসমূহে সভাপতিত্ব করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং তার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতিদ্বয়ের মধ্য থেকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে একজন সহ-সভাপতি এবং তাঁদের অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত একজন সিনিয়র সসদ্য কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
ক) কাউন্সিলরদের অন্ততঃপক্ষে ১০০(একশত) জনের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশনের কোরাম গঠিত হবে।
খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব কাউন্সিলের মহাসচিব হবেন। তিনি সভাপতির সম্মতিক্রমে সাধারণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করবেন এবং অধিবেশন শুরুর পূর্বে কাউন্সিল অধিবেশনের আলোচ্যসূচি প্রণয়ন করবেন। এছাড়া তিনি কাউন্সিলের সামনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি অনুমোদিত রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন।
গ) কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবাবলী পাশ করা যাবে। তবে গঠনতন্ত্রের কোন সংশোধনী থাকলে তার জন্য অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে।
ঘ) ভাপতি অথবা অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি ব্যতিরেকে অধিবেশন চলাকালে আলোচনার জন্য কোন কাউন্সিলর কর্তৃক কোন প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না।
ঙ) কান আলোচ্যসূচি বা তার অংশ বিশেষের উপর আলোচনা বা বিতর্কের জন্য সময়সীমা বা অন্য কোন নিয়ম পদ্ধতি যা কার্যপ্রণালীতে উল্লিখিত নেই এমন সব ব্যাপারে সভাপতি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
চ) কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বানের জন্য স্থান, তারিখ ও সময় উল্লেখ করে অন্ততঃপক্ষে ২১(একুশ) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রয়োজন হবে। কাউন্সিল অধিবেশনের বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে অন্ততঃপক্ষে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় সংবাদপত্রে/একটি অনলাইন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে।
ছ) কাউন্সিল সকল নীতি নির্ধারনী বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে এবং ইনস্টিটিউশন সম্মুখীন সকল পেশাগত সমস্যা, জাতীয় বিষয়াবলী, গঠনতান্ত্রিক সংকট, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা নির্বাচন প্রসঙ্গ এবং প্রয়োজনবোধে বিশেষ তহবিল গঠনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে পরামর্শ দেবে।
জ) ইনস্টিটিউশনে জরুরী প্রয়োজনে তলবী কাউন্সিল অধিবেশন করা যেতে পারে। অন্ততঃপক্ষে ৫০(পঞ্চাশ) জন কাউন্সিলর সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যসহ সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন জানালেই কেবল এ জাতীয় অধিবেশন হতে পারবে। তলবী সভার জন্য আবেদন পাওয়ার ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে কাউন্সিল সভা আহবান করতে হবে।
ঝ) কোন বিতর্কিত বিষয় থাকলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তা বিবেচনার জন্য কাউন্সিল সভার মাধ্যমে সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
ঞ) কাউন্সিল নবগঠিত শাখাসমূহ অনুমোদন করবে, কোন সমিতি অধিভুক্তির বিষয় থাকলে তার অনুমোদন দেবে।
ট) সভাপতি ও মহাসচিব ব্যতিরেকে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণীয় থাকলে কাউন্সিল তা বিবেচনা করবে।
ঠ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক কৃত ব্যয়ের উপর কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ড) কৃষি বিজ্ঞানের কোন শাখার কোন এসোসিয়েশন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কাছে অধিভূক্তির জন্য আবেদন জানালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বিষয়টি যাচাই বাছাই করার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গঠিত উপ-কমিটি যদি মনে করে এটি একটি পেশাগত, অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং তার গঠনতন্ত্র কোনভাবেই কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের গঠনতন্ত্রের কোন ধারা বা স্বার্থের পরিপন্থী নয় তবে তা অনুমোদনের জন্য কাউন্সিলে উত্থাপন করতে পারবে।
২৩। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামো
গঠনতন্ত্রে বর্ণিত নির্বাচন পদ্ধতি অনুসারে ইনস্টিটিউশনের সাধারণ ও জীবন সদস্যদের ভোটে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে, যা সংক্ষেপে সিইসি নামে অভিহিত হবে। কেবলমাত্র নিয়মিত সদস্যগণই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নোক্ত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১
সিনিয়র সহ-সভাপতি ১
সহ-সভাপতি (পুরুষ) ২
সহ-সভাপতি (মহিলা) ১
মহাসচিব ১
যুগ্ম মহাসচিব (পুরুষ) ২
যুগ্ম মহাসচিব (মহিলা) ১
সাংগঠনিক সম্পাদক ১
দপ্তর সম্পাদক ১
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১
প্রচার সম্পাদক ১
গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১
কারিগরি ও গবেষণা সম্পাদক ১
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ১
কৃষি পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১
কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ১
কোষাধ্যক্ষ ১
সদস্য ১৩
=============================
টোটাল = ৩৫
সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও মহাসচিব পূর্ব পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকবেন।
২৪। সিইসি, কাউন্সিল ও শাখা কমিটির কার্যকাল
ক) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিল ও শাখা কমিটির কার্যকাল হবে দুই ইনস্টিটিউশন বছর।
খ) স্ব স্ব কমিটির এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি দ্বারা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কামিটি ও শাখা কমিটির সভার কোরাম গঠিত হবে। তবে মুলতবী সভার জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।
২৫। নির্বাচনে প্রার্থীতা
কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ব্যতীত অন্য সকল পদে কোন সদস্য একই পদে একাধিক্রমে দুই মেয়াদের অধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
২৬। পদ শূন্য হওয়া ও পূরণ করা
ক) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বা শাখা কমিটির কোন কর্মকর্তা ও সদস্য স্ব স্ব কমিটির পরপর চারটি সভায় উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য একটি চিঠি প্রদান করতে হবে। উক্ত চিঠি প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/সদস্য উপযুক্ত কারণসহ জবাব দিবেন। জবাব সন্তোষজনক না হলে কমিটি তার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষেত্রে পদ স্থগিতের তারিখ থেকে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিশেষ কাউন্সিল সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শাখার ক্ষেত্রে ৩০ (এিশ) দিনের মধ্যে শাখা সদস্যদের একটি সাধারণ সভায় স্থগিত পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে তা অবহিত করতে হবে।
খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা বা সদস্যের মৃত্যু, পদত্যাগ, বহিষ্কার বা অন্য কোন যুক্তিসংগত কারণে পদ শূন্য হতে পারে। কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির শূন্যপদ ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে সিইসি কর্তৃক একজন নিয়মিত সদস্যকে কো-অপ্ট করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পূরণ করতে হবে যা পরবর্তী কাউন্সিল সভায় অনুমোদিত হতে হবে।
গ) শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের মৃত্যু, পদত্যাগ, বহিষ্কার, বদলী বা যুক্তিসংগত অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হলে ৩০ (এিশ) দিনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে । স্ব স্ব শাখার সাধারণ সদস্যদের সভায় তা অনুমোদিত হতে হবে, যা কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটিকে অবহিত করতে হবে।
২৭। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাজ
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাজ হলো ইনস্টিটিউশন পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করা এবং গঠনতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের আওতাধীন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়ন করা। কমিটি প্রতি মাসে অন্তত একবার এবং ইনস্টিটিউশন বছরে কমপক্ষে ১২ (বার) বার সভা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি পেশার মর্যাদা রক্ষা ও কল্যাণ সাধন এবং ইনস্টিটিউশনের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ইত্যাদিসহ অন্য সকল কাজ সম্পাদন করবে। কমিটি এছাড়াও কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদের কাছে দায়ী থাকবে। কমিটি ইনস্টিটিউশনের কর্মপরিধি এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আওতায় উপযুক্ত বিবেচনা মতো যখন যেভাবে প্রয়োজন তেমন মেয়াদ ও শর্তে উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। কমিটির নিকট যে সব কর্মকান্ড ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আংশিক ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের প্রয়োজন ও আবশ্যকীয় বলে প্রতীয়মান হবে সেসব কর্মকা- সম্পাদন করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির গৃহীত কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে মেট্টোপলিটনসহ সকল শাখা কমিটি পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে।
২৮। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও কাজ
ক) সভাপতি ঃ সভাপতি ইনস্টিটিউশনের প্রধান হিসাবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহ, কাউন্সিল, সাধারণ পরিষদের সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন। তাছাড়া সভা সমাবেশ, আলোচনা এবং দেশে বিদেশে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানসহ গঠনতন্ত্রের পরিধির মধ্যে ইনস্টিটিউশনের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করবেন। তিনি গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা উপধারা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, নিশ্চিত ও সংরক্ষণ করবেন এবং ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে মহাসচিবের সাথে যৌথভাবে সকল বিবৃতি, দলিলপত্র, ঘোষণা ও দেশে বিদেশে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
খ) সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি ঃ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া সকল কাজ সম্পাদন করবেন এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে সংখ্যাগত অবস্থানের ক্রমানুসারে একজন সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি/কাউন্সিল/সাধারণ পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সে ক্ষেএে তিনি সভাপতির মতোই সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবেন।
গ) মহাসচিব ঃ মহাসচিব সংস্থার নির্বাহী প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহায়তায় দক্ষতার সাথে ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করবেন এবং সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে অন্ততঃপক্ষে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশনের দৈনন্দিন কাজের ব্যাপারে দায়িত্বশীল থাকবেন এবং ইনস্টিটিউশনের কর্মকা- ও কাজ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদের সভাসমূহে অবহিত করবেন। তিনি ৪৮(আটচল্লিশ) ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুসারে আরো সংক্ষিপ্ত সময়ের বিজ্ঞপ্তিতেও জরুরী সভার আহ্বান করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি অন্তত ১০(দশ) জন সদস্য তলবী সভার জন্য লিখিত চিঠি দিলে মহাসচিব সভাপতির সাথে পরামর্শ করে উক্ত চিঠি প্রাপ্তির ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবেন। মহাসচিব সুষ্ঠুভাবে ইনস্টিটউশনের সকল নথিপত্র, দলিলপত্র, নিবন্ধন বই প্রভৃতি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করবেন, সভাসমূহের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং সভাপতির সাথে যৌথভাবে দেশে-বিদেশে সকল বিবৃতি, দলিল, ঘোষণা ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন এবং গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি তাকে যেসব কাজ করতে বলবেন তিনি সেসব কাজও সম্পাদন করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশনের হিসাব বই তদারক করবেন, বিল পাশ করবেন, পাওনাদি পরিশোধ করবেন এবং কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথ স্বাক্ষরে চেক ইস্যু ও স্বাক্ষর করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশনের স¦ার্থে সকল সম্পাদকের কাজের সমন্বয় সাধন করবেন।
ঘ)কোষাধ্যক্ষঃ কোষাধ্যক্ষ তহবিলের রক্ষক হিসাবে গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে ইনস্টিটিউশনের আয়-ব্যয় ও হিসাব দেখাশুনা করবেন। তিনি মহাসচিবের সাথে যৌথভাবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব বা কোন তফসীলী ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করবেন। তিনি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় খরচের হিসাব পেশ করবেন এবং মহাসচিবের সাথে পরামর্শ করে বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করবেন। ইনস্টিটিউশনের হিসাব কাউন্সিল ও বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অবহিতকরণ ও অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত চাটার্ড একাউন্ট ফার্ম দ্বারা সাধারণ সভার পূর্ববর্তী মাস পর্যন্ত অডিট করাবেন।
ঙ)যুগ্ম মহাসচিব ঃ যুগ্ম মহাসচিবগণ যাবতীয় সাংগঠনিক বিষয়ে মহাসচিবকে সহায়তা করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের উপর যেসব দায়িত্ব অর্পণ করবেন তা সম্পাদন করবেন। তাদের একজন সংখ্যাগত অবস্থানের ক্রমানুসারে, মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা পালাক্রমে মহাসচিবকে বিভিন্ন সভা-বৈঠকের কার্যবিবরণী লিখতে সহায়তা করবেন।
চ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ ইনস্টিটিউশনের যাবতীয় সাংগঠনিক বিষয় সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর ন্যস্ত থাকবে। তিনি সভাপতি ও মহাসচিবের সাথে পরামর্শক্রমে ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে যেখানে সম্ভব সেখানে নতুন শাখা খোলার ব্যাপারে সহায়তা করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন গ্রহণ করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশন সদস্যদের একটি নিবন্ধন বই সংরক্ষণ করবেন এবং সংগঠনকে জোরদার করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শাখাগুলোকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেবেন। তিনি কেন্দ্র ও শাখাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
ছ)দপ্তর সম্পাদকঃ ইনস্টিটিউশনের দাপ্তরিক সকল কার্যক্রম দপ্তর সম্পাদকের উপর ন্যস্ত থাকবে। তিনি মহাসচিবের সাথে পরামর্শক্রমে দাপ্তরিক দলিল, নথিপত্র ইত্যাদি সংরক্ষণ করবেন। তিনি আগত সকল চিঠিপত্র অবলোকন করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারসংক্ষেপ আকারে নোটসহ মহাসচিবের কাছে পেশ করবেন। তিনি শাখাগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং দাপ্তরিক সম্পদ সংরক্ষণ ও ইনস্টিটিউশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কাজকর্ম তদারক করবেন
জ)সমাজকল্যাণ সম্পাদকঃ সমাজকল্যাণ সম্পাদক সমাজ সেবামূলক কর্মকা-ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশন সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গের আপৎকালে সহায়তার জন্য তহবিল গঠন ও উন্নয়নের কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন। তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে কল্যাণ তহবিল যথাযথ পরিচালনার ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি মহাসচিবের সাথে পরামর্শ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকা-ের ব্যবস্থা নেবেন এবং গঠনতন্ত্রের ৫(ঠ), ৫/৬ ধারায় উল্লিখিত কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তিনি পদাধিকার বলে কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক হবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা উপবিধি অনুসারে সমাজকল্যাণ সম্পাদক যাবতীয় কার্য সম্পাদন করবেন।
ঝ)ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইনস্টিটিউশনের আভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গন ক্রীড়া আয়োজন করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত কৃষিবিদ ক্লাব ব্যবস্থাপনারও দায়িত্বে থাকবেন। তিনি সময়ে সময়ে প্রয়োজনমত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ ব্যাপারে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে। তিনি ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য উৎসবাদি উদযাপনেরও ব্যবস্থা করবেন। কৃষিবিদ ক্লাবের কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হবে এই গঠনতন্ত্রে বর্ণিত কৃষিবিদ ক্লাব ব্যবস্থাপনা উপবিধি অনুসারে।
ঞ)প্রচার সম্পাদকঃ প্রচার সম্পাদক ইনস্টিটিউশনের প্রচারমূলক কার্যক্রমের দায়িত্বে ন্যস্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ হতে ইনস্টিটিউশনের সকল ধরণের প্রচার কাজের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রচার কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হলোঃ গ্রাহকদের কাছে জার্ণাল ও সাময়িকী বিতরণ, পোস্টার ও প্রচারপত্র থাকলে তা বিতরণ এবং মহাসচিবের অনুমোদন সাপেক্ষে সংবাদ মাধ্যমের জন্য সংবাদ/প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতি তৈরি ও প্রেরণ করা।
ট)গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইনস্টিটিউশনের লাইব্রেরীর জন্য আধুনিক কৃষি বিষয়ক জার্ণাল, বই-পুস্তক ও অন্যান্য প্রকাশনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি বুলেটিন, সাময়িকী ইত্যাদি প্রকাশের জন্য প্রয়োজনবোধে একটি উপ-কমিটি গঠন করবে। তিনি ঐ কমিটির সদস্য সচিব হবেন। প্রকাশনাসমূহ সম্পাদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মতিক্রমে একটি সম্পাদনা পরিষদ গঠন করা যাবে।
ঠ)আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশে-বিদেশে ভ্রাতৃপ্রতীম সংস্থাসমূহের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন এবং ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এগিয়ে নিতে সহায়ক সকল কার্যক্রম গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন।
ড)কারিগরি ও গবেষণা সম্পাদকঃ কারিগরি ও গবেষণা সম্পাদক ইনস্টিটিউশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ, ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়সমূহের উপর সেমিনার, কর্মশালা, সিম্পোজিয়াম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান এবং এ জাতীয় অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন। কারিগরি বিষয়ক প্রকাশনার কোন সম্পাদনা পরিষদ গঠন করা হলে তিনি তার সদস্য সচিব হবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা ও তার যথাযথ বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত থাকবে।
ঢ)তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্িক্ত বিষয়ক সম্পাদক ঃ তথ্য প্রযু্িক্ত সম্পাদক কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের ওয়েব সাইট তৈরি, ব্যবস্থাপনা, সদস্যদের ডাটাবেজ তৈরি ও ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক তথ্য ও কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি ইনস্টিটিউশন-এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক কার্যক্রমের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।
ণ)মহিলা বিষয়ক সম্পাদকঃ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী কৃষিবিদদের জন্য কর্ম সংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, কৃষি বিষয়ক উন্নয়ন কর্মকা-ে তাঁদের সম্পৃক্তকরণ, সর্বোপরি নারী অধিকার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা প্রদানসহ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মকা-ে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন।
ত)কৃষি পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদ ঃ পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে কৃষির উপর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কৃষিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার, কর্মশালা এবং এতদ্্সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
থ)কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ঃ কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ, কৃষিবিদদের এ বিষয়ে উৎসাহিতকরণ এবং কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের গতি সঞ্চারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
দ) সদস্যঃ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ তাঁদের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আলোকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সম্পাদকদের ইনস্টিটিউশনের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
চতুর্থ অধ্যায়
সভা ও সম্মেলন
২৯। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা পরিচালনা পদ্ধতি
ক) এই গঠনতন্ত্রের অধ্যায়-৩ এর ৩০ (গ) ধারা অনুসারে মহাসচিব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সভা আহবান করবেন এবং সাধারণত ইনস্টিটিউশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের সভাসমূহে সভাপতি ব্যতিরেকে সকল কর্মকর্তা ও সদসস্যের প্রত্যেকের একটি ভোট থাকবে এবং সভাপতির কেবলমাত্র ‘কাষ্টিং’ ভোট থাকবে। ভোটাভুটি হাত উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা ও সদস্যের লিখিত দাবীর প্রেক্ষিতে সভার যে কোন আলোচ্য বিষয় পরবর্তী সভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্তি করা যেতে পারে।
গ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভার আলোচ্যসূচি প্রস্তুত ও উত্থাপনের দায়িত্ব মহাসচিবের হলেও কমিটির যে কোন ৫ (পাঁচ) জন কার্যকরী সদস্য মহাসচিবের বরাবর কোন বিষয়ে নোটিশ দিলে তা পরবর্তী সভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হবে।
ঘ) ইনস্টিটিউশনের কোন সভাই কোরাম ব্যতিরেকে অনুষ্ঠিত হবে না, তবে মুলতবী সভার জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।
ঙ) মহসচিব অতি জরুরী কোন বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবের উপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সভাপতির কাছে পেশ করতে পারবেন। উক্ত বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় অবহিত করতে হবে।
চ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহের প্রস্তাব ও কার্যবিবরণী ‘একটি কার্যবিবরণী বই’তে লিপিবদ্ধ করতে হবে। মহাসচিব তা অনুমোদনের জন্য কার্যবিবরণী আকারে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করবেন। ঐ কার্যবিবরণী অনুমোদিত হলে সভাপতি তাতে স্বাক্ষর করবেন। সভাসমূহের কার্যবিবরণী যথাসময়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ইনস্টিটিউশনের শাখাসমূহে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৩০। সভাপতির রুলিং
যে কোন পয়েন্ট অব অর্ডারের (সভার নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে বৈধতার প্রশ্নে) ব্যাপারে সভাপতির রুলিংই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কোন কিছ ুব্যাখ্যা বা একটি যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে উপণীত হতে ব্যর্থ হলে অথবা সুশৃংখলভাবে সভার কাজ পরিচালনার স্বার্থে রুলিং দিবেন।
৩১। বিভিন্ন সভা আহবান পদ্ধতি
ক) বার্ষিক সাধারণ সভা ইনস্টিটিউশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মহাসচিব বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করবেন। বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জন্য স্থান তারিখ ও সময় উল্লেখ করে অন্তত পক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি যথা সময়ে অন্ততপক্ষে ১(এক)টি বাংলা, ১(এক)টি ইংরেজি জাতীয় সংবাদপত্রে/১(এক)টি অনলাইন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা হবে ইনস্টিটিউশনের পার্লামেন্ট। ইনস্টিটিউশনের বিধি বিধান মোতাবেক বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত সকল প্রস্তাবাবলী বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলের জন্য বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মহাসচিব বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ নির্ধারণ করবেন।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ
বার্ষিক রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন
অডিট রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন
নির্বাচন কমিশন গঠন (যদি প্রয়োজন হয়)
গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব (যদি থাকে)
অডিটর নিয়োগ (যদি প্রয়োজন হয়)
বিবিধ
খ) কনভেনশন কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউশনের কনভেশন প্রতি বিকল্প বছরে বার্ষিক সাধারণ সভার সাথেই অনুষ্ঠিত হবে।
কনভেনশনে নি¤েœাক্ত বিষয়াবলী আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হবে –
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ সভাপতি, মহাসচিব ও অতিথিদের ভাষণ ডিপ্লোমা, সনদ, পদক ও অন্যান্য সম্মাননা থাকলে তা প্রদান করা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং তার উপর আলোচনা সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ কৃষি বিষয়ের উপর সেমিনার, কর্মশালা ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন
গ) বার্ষিক সাধারণ সভার কোরাম বার্ষিক সাধারণ সভার কোরামের জন্য ইনস্টিটিউশনের অন্তত ৩০%(শতকরা ত্রিশ ভাগ) শাখার প্রতিনিধিত্বকারী ৩০০ (তিনশত) তালিকাভূক্ত সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে
ঘ) জরুরী সাধারণ সভা কোন সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জন্য ইনস্টিটিউশনের অন্তত ৩০% (শতকরা ত্রিশ ভাগ) শাখার প্রতিনিধিত্বকারী ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম গঠিত হবে
ঙ) তলবী সাধারণ সভা ইনস্টিটিউশনের অন্ততঃপক্ষে এক তৃতীয়াংশ নিয়মিত সদস্য সভাপতি বরাবরে ইনস্টিটিউশনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে আলোচনার জন্য লিখিতভাবে তলবী সাধারণ সভা আহবানের দাবী জানাতে পারবেন এবং এ ধরনের দাবী সম্বলিত চিঠি প্রাপ্তির ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টির নি®পত্তি করতে হবে।
৩২। ইনস্টিটিউশনের শাখা গঠন পদ্ধতি ও শাখার কার্যপরিধি
ক) ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্ত গঠনতন্ত্রের বিধান ও প্রয়োজন অনুসারে শাখা গঠিত হবে।
খ) শাখার কাজ ও ক্ষমতা
সভাপতি ১
সহ-সভাপতি ২
সাধারণ সম্পাদক ১
সহ-সাধারণ সম্পাদক ১
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১
কোষাধ্যক্ষ ১
সদস্য ৭
==================
টোটাল = ১৫
তবে মেট্রোপলিটন শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নরূপ হবে
সভাপতি ১
সহ-সভাপতি ২
সাধারণ সম্পাদক ১
সহ-সাধারণ সম্পাদক ২
সাংগঠনিক সম্পাদক ১
দপ্তর সম্পাদক ১
মহিলা সম্পাদক ১
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
১ কোষাধ্যক্ষ ১
সদস্য ৭
==================
টোটাল = ১৯
গ)সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির সাথে পরামর্শ করে শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহ আহবান করবেন। শাখার সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন সভাপতি, তার অনুপস্থিতিতে একজন সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতিদের অনুপস্থিতিতে শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদক তার দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘ)শাখা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহ কোরামের জন্য কমিটির এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি এবং সাধারণ সভার জন্য সংশ্লিষ্ট শাখায় নিয়মিত সদস্যদের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতির প্রয়োজন হবে। মুলতবী সভার জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।
ঙ)শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লংঘন এবং ইনস্টিটিউশনের স্বার্থের পরিপন্থি কর্মকা-ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সংশ্লিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত করাসহ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যথায় শাখার নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মতামত নিয়ে একটি নতুন এডহক কমিটি গঠন করতে হবে।
চ)নগদ রশিদের ভিত্তিতে শাখার তহবিল উত্তোলন করতে হবে এবং সংগৃহীত চাঁদা, দান অথবা অন্য যে কোন উৎস থেকে সংগৃহীত উদার সাহায্য শাখার কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক একটি তফসীলি ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে সংরক্ষণ ও পরিচালনা করতে হবে। সংগৃহীত চাঁদার দুই-তৃতীয়াংশ এবং নিবন্ধন ফি-এর পুরো অংশ নগদ ভাউচারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। শাখার তহবিলের উপর সভাপতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ছ)সমাজকল্যাণ, সাংগঠনিক, দপ্তর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইনস্টিটিউশনের স্বার্থানুকূল এবং শাখার আওতায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সমাজকল্যাণ, সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের অনুরূপ ক্ষমতা ও কাজ পরিচালনা করবেন। জ)শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে স্বাভাবিকভাবে ইনস্টিটিউশন বছরের শেষে এবং যখন সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি আবশ্যক মনে করে তখন সাধারণ সভায় নি¤েœাক্ত আলোচ্য বিষয়সমূহ বিবেচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদন করা হবে। সংশ্লিষ্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভা আহবান করবেন এবং সভার নিম্নোক্ত আলোচ্যসূচি থাকবেঃ
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ
বার্ষিক রিপোর্ট অনুমোদন
অডিট রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন
কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন
বিবিধ
পঞ্চম অধ্যায়
তহবিল সংগ্রহ ও পরিচালনা
৩৩। তহবিল ইনস্টিটিউশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং বিভিন্ন কর্মকা- বাস্তবায়নের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকবে।
ক) গঠনতন্ত্রের প্রথম অধ্যায়ের ধারা-৬ অনুসারে ইনস্টিটিউশনের চার ধরনের তহবিল থাকবে, যথা- সাধারণ তহবিল, স্থায়ী আমানত তহবিল, সংরক্ষিত তহবিল ও কল্যাণ তহবিল।
খ) সংরক্ষিত তহবিলের একটি অংশ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ঝুঁকিহীন সরকারি বন্ড, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
গ) কাউন্সিলের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোন অবস্থাতেই স্থায়ী আমানত ও সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
ঘ) ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর সভাপতি কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে এবং ইনস্টিটিউশনের সীল ব্যবহার করতে হবে।
ঙ) ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে প্রয়োজনে ব্যাংক লেনদেন নিয়ন্ত্রণে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
চ) সভাপতি এককালীন ৩০০,০০০ (তিন লক্ষ) টাকা অগ্রিম উত্তোলন ও খরচের অনুমোদন দিতে পারবেন।
ছ) মহাসচিব ইনস্টিটিউশনের দৈনন্দিন কার্যাদি পরিচালনার জন্য একসাথে অনধিক ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা রাখার অনুমোদন দিতে অথবা সংরক্ষণ বা ব্যয় করতে পারবেন।
জ) সভাপতি/মহাসচিব কর্তৃক অনুমোদিত বা ব্যয়িত অর্থ অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
ঝ) ধারা ৬ এ বর্ণিত চার শ্রেণির তহবিল ছাড়াও কনভেনশন উপলক্ষে ও অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে একটি বিশেষ তহবিল সংগ্রহ করা যেতে পারে, যার আয় ও ব্যয়ের হিসাব একটি অনুমোদিত অডিট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষণ করাতে হবে এবং নিরীক্ষণ রিপোর্ট অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
নির্বাচন
৩৪। নির্বাচন কমিশনের গঠন ও কমিশনের দায়িত্ব
ক) ইনস্টিটিউশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় একজন চেয়ারম্যান ও ছয়জনকে সদস্য করে নির্বাচন কমিশন, সংক্ষেপে ইসি গঠিত হবে।
খ) ইসি’র চেয়ারম্যান ও সদস্যগণকে অবশ্যই ইনস্টিটিউশনের নিয়মিত সদস্য হতে হবে। ইসি’র চেয়ারম্যান এবং অন্ততঃপক্ষে দু’জন সদস্যকে অবশ্যই ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় বসবাসরত হতে হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কোন অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি অথবা কোন শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির কোন পদে অথবা কাউন্সিলর প্রার্থী হবার অথবা কোন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব বা সমর্থন করার অধিকার থাকবে না।
গ) ইসি’র চেয়ারম্যান যদি শারীরিক বা মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন তাহলে পদত্যাগ করতে পারবেন অথবা যদি মৃত্যুবরণ করেন সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ইসি’র সবচেয়ে সিনিয়র সদস্যকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ করবে এবং ইসি একটি সভায় মিলিত হয়ে ইনস্টিটিউশনের নিয়মিত সদস্যদের মধ্য থেকে উক্ত শূন্য পদে একজন সদস্য কো-অপ্ট করবে। অনুরূপভাবে যদি ইসি’র একজন সদস্যপদে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তাহলে শূন্য পদটি উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণে কো-অপ্ট করে পূরণ করতে হবে।
ঘ) ইসি ইনস্টিটিউশনের সকল নির্বাচনী বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। ইসি’র উপর অথবা ইসি’র চেয়ারম্যানসহ কোন সদস্যের উপর কোন সদস্য বা সদস্যদের তরফ থেকে অন্যায় প্রভাব বা চাপ সৃষ্টি করা হলে তা নির্বাচনের স্বচ্ছতার লংঘন বলে বিবেচিত হবে। ইসি’র চেয়ারম্যানসহ কোন সদস্যের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ অথবা ইসি’র চেয়ারম্যানসহ কোন সদস্যের উপর বা কোন ভোটারের উপর ইনস্টিটিউশনের কোন সদস্য কর্তৃক অন্যায় প্রভাব, চাপ বা হুমকি সৃষ্টি করা হলে, তার প্রতিষ্ঠানিক পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, তিনি ইনস্টিটিউশনের গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ধারা ২০-এ বর্ণিত বিধান অনুসারে শাস্তির যোগ্য হবেন এবং তাঁর ইনস্টিটিউশনের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে।
ঙ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলর ও শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনা করবে ইসি, যা প্রতি দুই বছর পরপর সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫(পনের) দিন পূর্বে অনুষ্ঠিত হবে এবং ইসি, চেয়ারম্যান কর্তৃক ফলাফল ঘোষিত হবে।
চ) যদি অনিবার্য কারণবশত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলর ও শাখাসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না পারে, তাহলে ইসি নির্বাচনের একটি নতুন তারিখ নির্ধারণ করবে, তবে কোন অবস্থাতেই তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলর ও শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে ৯০(নব্বই) দিন অতিক্রম করবে না। এক্ষেত্রে বিদ্যমান কমিটি নির্বাচনের ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত সাংগঠনিক কর্মকা- চালিয়ে যাবে। এমনকি জাতীয় দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের কারণে ৯০ (নব্বই) দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না পারে তাহলে জরুরি সাধারণ সভায় গঠিত ৫(পাঁচ) সদস্যের একটি আন্তর্বর্তীকালীন কমিটি পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সাপেক্ষে নৈমিত্তিক কর্মকা- পরিচালনা করবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। এ ক্ষেত্রে বিলম্বিত সময় পরবর্তী কমিটির কার্যকাল বলে বিবেচিত হবে। উল্লিখিত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ৫(পাঁচ) সদস্য উক্ত মেয়াদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
ছ) প্রত্যেক শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি যেসব সদস্যের নির্বাচন বৎসর পর্যন্ত সকল ফি পরিশোধিত তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে সদস্যদের যাচাইয়ের ব্যবস্থা করবে এবং পরে তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে প্রেরণ করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সকল বৈধ সদস্যের তালিকা একত্রিত করে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করবে।
জ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে কোন ভোটার যদি বদলী, প্রেষণ, প্রশিক্ষণ অথবা অবসর গ্রহণজনিত কারণে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তনে আগ্রহী হন তাহলে নির্বাচন কমিশন-এর চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে কাঙ্খিত শাখায় তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং জেলা শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলর নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
৩৫। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব
ক) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা (বিজ্ঞপ্তি এবং জাতীয় দৈনিকসমূহে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে), খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং মনোনয়নপত্র বিতরণ করা।
খ) যথাযথভাবে পূরণকৃত মনোনয়নপত্র গ্রহণ, মনোনয়নপত্র বাছাই, ব্যালট পেপার প্রস্তুত ও ইস্যু করা এবং নির্বাচনের স্থান ও সময়সূচি ঘোষণা করা।
গ) বৈধ প্রার্থীকে লিখিতভাবে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া।
ঘ) সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে প্রত্যেক শাখার জন্য রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা। প্রতিটি শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পরপরই ব্যালটসমূহ গণনার ব্যবস্থা করবেন, কোন রকম বিরতি ছাড়াই ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত ব্যালটসমূহ গণনা করবেন, ফলাফল প্রস্তুত করবেন এবং আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের জন্য সীলগালাকৃত মোড়কে নির্বাচন কমিশনে তা প্রেরণ করবেন।
ঙ) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা, অত:পর নির্বাচনে ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত উভয় ব্যালটসমূহ সীলগালাকৃত পৃথক মোড়কে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির কাছে প্রেরণ করা।
চ) “নির্বাচন কমিশিন” সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের এবং কাউন্সিলরদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নি¤œলিখিতভাবে তফসিল নির্ধারণ করবেঃ (ক) ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে ……………..তারিখের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ (খ) ……………………….. তারিখের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল চূড়ান্ত (গ) …………………….. তারিখের মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার (ঘ) …………………….. তারিখের মধ্যে বা তার পূর্বে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ (ঙ)……………………… তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান। একত্রিশে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ ।
৩৬। এক বা একাধিক পদে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল না হয়ে থাকলে নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র ঐ পদে বা ঐ সব পদে নির্বাচনের জন্য একটি নতুন তারিখ ও তফশীল ঘোষণা করবে।
৩৭। কেবলমাত্র একজন বৈধ ভোটারই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য একজন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করতে পারবেন। যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর সম্মতির প্রতীক হিসেবে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর থাকতে হবে। ইসি’র চেয়ারম্যান বরাবর প্রার্থী কেবলমাত্র ব্যক্তিগতভাবে একটি লিখিত আবেদন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
৩৮। শাখাসমূহের মনোনয়নপত্র, ব্যালট পেপার ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার প্রস্তুত করবেন। শাখার নির্বাচনী ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করতে হবে।
৩৯। নির্বাচন কমিশন অন্ততপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) জন ভোটারের ভিত্তিতে একটি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করবে। অবশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলো ও কক্সবাজার জেলার জন্য এই সংখ্যা ২০ (বিশ) পর্যন্ত হ্রাস করা যেতে পারে।
৪০। যদি কোন সদস্য ভোটার তালিকা প্রকাশের পর চাকুরিস্থল থেকে বদলী, প্রেষণ অথবা প্রশিক্ষণ অথবা অবসর নেয়ার দরুণ তার ঠিকানা পরিবর্তন করেন তাহলে তিনি ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য তার মূল শাখার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অথবা সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে তার বদলী ও ভোটার নিবন্ধন নম্বর সম্পর্কে প্রত্যয়ন পত্রসহ ইসি’র চেয়ারম্যান বরাবর ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। ইসি সে অনুসারে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য ঐ সকল আবেদন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত একত্রিত করে ভোটার তালিকা সংশোধন করবে। পরে ইসি ৫ নভেম্বরের মধ্যে ঐ নামগুলো সংশ্লিষ্ট শাখা রিটার্নিং অফিসারকে জানাবে এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যদেরকে পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করবে।
৪১। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পৃথক পৃথক ব্যালট পেপারে একই নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য, অনিবার্য কারণবশত বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে যদি নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে (এক বা একধিক শাখার) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন ঐ শাখা বা শাখাসমূহের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচনের প্রথম নির্ধারিত তারিখের পর অনধিক ১৫(পনের) দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করবে এবং প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করতে পারবে।
৪২। কোন প্রার্থী প্রচারণার জন্য পোস্টার, প্লাকার্ড ও ব্যানার ব্যবহার এবং দেয়াল লিখন করতে পারবেন না। কোন প্রার্থী/ইনস্টিটিউশনের সদস্য কর্তৃক কোন বিরোধী/প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সম্পর্কে আপত্তিকর বিবৃতি/লিফলেট/ কার্ড ইত্যাদি প্রচার করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। উপরোক্ত বিষয়ে কোন রকম লংঘনের ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যাচাই ও অনুসন্ধান পূর্বক যে কোন পদে যে কোন ব্যক্তির প্রার্থীতা বাতিল করতে পারবে।
৪৩। ইনস্টিটিউশনের যে কোন নির্বাচনে প্রার্থীতা হবে ব্যক্তিভিত্তিক। প্রার্থী বা ভোটারদের একটি গ্রুপ বা গ্রুপসমূহ কর্তৃক প্রকাশ্যে বা গোপনে প্রার্থীদের একটি প্যানেলভুক্ত হওয়া বা একটি প্যানেল তৈরি করা নিষিদ্ধ।
৪৪। নির্বাচন পরিচালনা প্রক্রিয়ার কোন অনিয়ম হলে ঐ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ইসির চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
৪৫। ডাক ব্যালটের পদ্ধতি
ক) অসুস্থতা অথবা নিয়োগ দানকারীর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বল্পকালের জন্য কোথাও প্রেষণে অথবা চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণে থাকাসহ অনিবার্য কারণে যদি কোন ভোটার ডাক ব্যালটে তার ভোট দিতে ইচ্ছা করেন, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের উদ্দেশ্যে লিখিত আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার এর জবাবে যথাযথভাবে তার স্বাক্ষর করা একটি ব্যালট পেপার সীলগালা করা মোড়কে বা নিবন্ধনকৃত মোড়কে আবেদনকারীকে সরবরাহ করবেন। পরে ভোট প্রদানকারী সীলগালা মোড়কে ঐ ব্যালট পেপার নির্বচনের নির্ধারিত তারিখের পূর্বে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফেরত পাঠাবেন, যা ভোট গণনার সময় খোলা হবে।
খ) ইসি চেয়ারম্যান বরাবর সাদা কাগজে লেখা আবেদনের ভিত্তিতে বিদেশে বসবাসরত উপযুক্ত ভোটারদের উদ্দেশ্যে ডাক ব্যালট ইস্যু করা যেতে পারে। চেয়ারম্যান এসব আবেদন যাচাই করবেন এবং গহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে ব্যালট পেপার নিবন্ধনকৃত ডাকযোগে নির্বাচন তারিখের অন্ততঃপক্ষে ২১(একুশ) দিন পূর্বে ভোট দাতার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করবেন। ভোট দাতা ব্যালট পেপারে নির্দিষ্ট প্রার্থীর/প্রার্থীদের নামের পাশে ী চিহ্ন দিয়ে তা একটি ঠিকানাবিহীন খামে ভর্তি করে এবং পরে তা আবার আর একটি বাহ্যিক খামে বাম পাশে তার স্বাক্ষর, ঠিকানা ও ভোটার নম্বরসহ ইসির চেয়ারম্যানের ঠিকানায় প্রেরণ করবেন, যা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করার সময় খোলা হবে।
৪৬। যদি একই পদে দুই বা ততোধিক প্রার্থী সমসংখ্যক ভোট পান সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র ঐ বিশেষ পদ বা পদসমূহে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
৪৭। ভোটদানের পদ্ধতি প্রবর্তনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকবে।
৪৮। দায়িত্ব হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইসি কর্তৃক ফল প্রকাশের ১৫(পনের) দিনের মধ্যে পূর্বতন কমিটির সভাপতি ও মহাসচিব নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও মহাসচিবের নিকট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। সকল শাখায়ও অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
সপ্তম অধ্যায়
বিবিধ
৪৯। ইনস্টিটিউশনের পৃষ্ঠপোষক
ইনস্টিটিউশন সার্বিকভাবে কৃষি ক্ষেত্রের সকল বিভাগে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শনের নির্দশন হিসাবে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও স্কলারকে এবং জাতীয় জীবনে সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ববর্গকে ইনস্টিটিউশনের পৃষ্ঠপোষক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। এ ধরনের আমন্ত্রণ জানাতে হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে এবং তা একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
৫০। পদক ও পুরস্কার প্রদান
ইনস্টিটিউশন কৃষির বিভিন্ন শাখায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে খেতাব, সনদ/পদক/নগদ অর্থ পুরস্কার দিতে পারবে।
৫১। বিশেষ জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলা
দেশে উদ্ভূত জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক কৃষি কর্মকা-ের উন্নয়ন মোকাবিলায় পেশা, পেশাজীবী ও কৃষিকর্ম সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর আশু ও ব্যাপক প্রভাব বিস্তারক কোন সমস্যা ও পরিস্থিতির উদ্ভব হলে মহাসচিব সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একটি বৈঠক আহবান করবেন এবং কমিটির ঐক্যমত্যে গৃহীত পন্থায় সমস্যা বা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন/ইনস্টিটিউশন/এসোসিয়েশন বা তার কোন ভগ্নাংশের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে সংগ্রাম কমিটি গঠনপূর্বক এসব সমস্যা ও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবে।
৫২। সালিশী
ইনস্টিটিউশনের কোন কার্যক্রমের ব্যাপারে কোন বিতর্কের উদ্ভব হলে বিতর্কিত সমস্যাটি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্র্তৃক সালিশকারী নিযুক্ত হবেন এবং সালিশকারীর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে বাস্তবায়নের জন্য পেশ করতে হবে।
৫৩। গঠনতন্ত্রের সংশোধন
গঠনতন্ত্রের উৎকর্ষ সাধন এবং সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাবে অবশ্যই পরিপূর্ণ যুক্তি থাকবে হবে এবং তা অবহিতকরণ ও অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
৫৪। কেআইবি কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা
কেআইবি কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ৯(নয়) সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট থাকবে। কেআইবি সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত চার্টার অব ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী সিইসি, কেআইবি কর্তৃক বোর্ড গঠিত হবে এবং কেআইবি কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হবে।
৫৫। উপদেষ্টা পরিষদ সিইসি, কেআইবি ১১(এগার) সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবে।
অর্থ ও তহবিল ব্যবস্থাপনা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ
১। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে-এর তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ ও হিসাব নিকাশের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে কোষাধ্যক্ষের উপর। তহবিলের যথাযথ ও দক্ষ ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি ইনস্টিটিউশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদের কাছে দায়ী থাকবেন। ২। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে কোষাধ্যক্ষ ইনস্টিটিউশনের সম্পদ ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করবেন।
৩। কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি যেসব উদ্দেশ্যে টাকা বরাদ্দ ও মঞ্জুর করবে সেসব উদ্দেশ্যেই শুধুমাত্র তা ব্যয় করতে হবে।
৪। কোষাধ্যক্ষ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারে যথাসময়ে বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, তা উপস্থাপন এবং হিসাব নিরীক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।
৫। কোষাধ্যক্ষ নিয়মিতভাবে প্রত্যেক মাসের শেষে জমা খরচের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
৬। চূড়ান্তভাবে পরিশোধের আগে কোষাধ্যক্ষ বিল/ভাউচারসমূহ পরীক্ষা করবেন এবং নিজে ব্যক্তিগতভাবে এই মর্মে সন্তুষ্ট হবেন যে, প্রত্যেকটি বিল/ভাউচার ইনস্টিটিউশনের কাজের উদ্দেশ্যে যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় এবং উদ্দেশ্য ও কাজ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং ব্যয় বাজেটের আওতাধীন এবং পর্যাপ্ত বাজেট মঞ্জুরী বিদ্যমান।
৭। সংগৃহীত সকল মঞ্জুরী বা ধার্যকৃত অর্থ, চাঁদা ও ফি ইত্যাদি যথাসময়ে যথাযথভাবে হিসাব বইতে জমা করতে হবে।
৮। হিসাব-নিকাশ প্রাক্কলন, রশিদ ও আয়-ব্যয় সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কর্মকা- গঠনতন্ত্রের বিধি-বিধান মোতাবেক যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৯। মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ যৌথভাবে সকল চেক স্বাক্ষর করবেন।
১০। মহাসচিব ও বিভাগীয় সম্পাদকগণের সাথে পরামর্শ করে কোষাধ্যক্ষ ইনস্টিটিউশনের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের খসড়া বাজেট তৈরি করবেন। এ প্রস্তাবিত বাজেট প্রাপ্তি ও ব্যয় এবং লেনদেনের ওপেনিং ও ক্লোজিং হিসাব অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
হিসাবের প্রাক্কলন হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য এবং তা কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদ কর্তৃক পরিসমর্থন সাপেক্ষে প্রতি বছর সম্ভব হলে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
যদি কোন খাতের খরচ বরাদ্দ অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা অন্য কোন হিসাবের খাত বা খাতসমূহের পূর্বানুমেয় সঞ্চয় থেকে পূরণ করা যেতে পারে। সভাপতি ও মহাসচিবের সাথে আলোচনাপূর্বক কোষাধ্যক্ষ এ ধরনের একটি পুনঃ নির্ধারিত হিসাব বিবরণী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করতে পারেন। অব্যয়িত যে কোন বাজেটের মঞ্জুরী বা বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট বছরের সমাপ্তিতে তামাদি হয়ে যাবে এবং ইনস্টিটিউশনের সাধারণ তহবিলে তা জমা হবে।
কৃষিবিদ ক্লাব ব্যবস্থাপনা
১। নাম
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের নাম হবে “কৃষিবিদ ক্লাব” এবং এতদ্্পরবর্তীতে ইহা সংক্ষেপে ‘ক্লাব’ হিসাবে বিবেচিত হবে। ইহা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে।
২। উদ্দেশ্য
ক্লাব সদস্যদের জন্য আভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গণ খেলাধূলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিনোদনমূলক কর্মকা- আয়োজন করা।
৩। সদস্যপদ
ক. সাধারণ সদস্য ঃ সকল কৃষিবিদ ক্লাবের সদস্য হবার যোগ্য। খ.সহযোগী সদস্যঃ কৃষিবিদ নন তবে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা/ইনস্টিটিউশনে কর্মরত বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাগণ ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ক্লাবের সহযোগী সদস্য হতে পারবেন। গ.জীবন সদস্যঃ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদমর্যাদার নীচে নন অত্র উপবিধির ৩ ধারার (ক) ও (খ) উপধারায় উল্লিখিত কোন ব্যক্তি কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে এককালীন টাকা ৫,০০০/- পরিশোধ করে ক্লাবের জীবন সদস্য হতে পারেন।
৪। সদস্যপদ লাভের পদ্ধতি
সাধারণ সদস্য/সহযোগী সদস্য হতে আগ্রহী যে কোন ব্যক্তিকে একটি নির্ধারিত ফরমে ক্লাবের দু’জন বিদ্যমান সদস্যের যথাযথ প্রস্তাব ও সমর্থন নিয়ে ক্লাবের সেক্রেটারী বরাবর আবেদন করতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী টাকা ৫০০/- নিবন্ধন ফি জমা দিয়ে একজন সাধারণ সদস্য/সহযোগী সদস্য হিসাবে ক্লাব নিবন্ধন বইতে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন। প্রত্যেক সদস্যকে নিয়মিতভাবে বার্ষিক চাঁদা হিসাবে টাকা ৩০০/- পরিশোধ করতে হবে।
৫। ক্লাবের আয়ের উৎস
ক) সদস্যদের নিবন্ধন ফি ও বার্ষিক চাঁদা। খ) ক্লাব কর্তৃক আয়, সুইমিংপুল, জিমনেশিয়াম ইত্যাদি থেকে অর্জিত আয় গ) অনুদান (যদি থাকে) এবং ঘ) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ প্রদত্ত মঞ্জুরী।
ক্লাবের সকল আয় সিইসি এর কেন্দ্রীয় হিসাবে জমা হবে।
যদিও কৃষিবিদ ক্লাবের বাৎসারিক আয়ের কমপক্ষে ৫০% কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর সাধারণ তহবিলে জমা দিতে হবে। তবে বর্ণিত ৫০% পরবর্তীতে হ্রাস/বৃদ্ধি করার ক্ষমতা কেআইবি সংরক্ষণ করে।
৬। ক্লাবের ব্যয়
ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিইসি কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে ক্লাবের সকল ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। ক্লাবের ব্যয় নির্বাহের জন্য সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষ একসাথে অনধিক ৫০,০০০.০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা রাখতে পারবে।
৭। ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি
ক্লাবের ব্যবস্থাপনা ও কার্য পরিচালনা ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকবে, যা নি¤েœাক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১
সহ-সভাপতি ১
কোষাধ্যক্ষ ১
সম্পাদক ১
যুগ্ম সম্পাদক ১
সদস্য ৬
কৃষিবিদ ক্লাব কার্যকরী কমিটির মেয়াদ হবে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর কার্যনির্বাহী কমিটির অনুরূপ ২(দুই) বৎসর কাল। ৮। ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের কাজ ও দায়িত্ব
ক) সভাপতিঃ
সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটিসহ ক্লাবের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
খ) সহ-সভাপতিঃ
সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি ক্লাবের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্য সকল কর্ম সম্পাদন করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির আগাম অনুমোদন ব্যতিরেকে তিনি ক্লাবের নীতিগত বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না।
গ) কোষাধ্যক্ষঃ
কোষাধ্যক্ষ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে ক্লাবের আয় ও ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বাজেট প্রণয়নে সম্পাদককে সাহায্য করবেন। কেআইবি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চার্টার্ড একাউন্ট ফার্ম দ্বারা ক্লাবের আয়-ব্যয়ের হিসাবের অডিট কেআইবির অন্যান্য হিসাবের সঙ্গে একই সাথে সম্পাদন করবে। সভাপতি ও সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে কোষাধ্যক্ষ ক্লাবের সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন। এ ছাড়া ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি যখন যে দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেবে তিনি সেসব দায়িত্ব ও কর্তব্যও পালন করবেন।
ঘ) সম্পাদকঃ
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি) এর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদাধিকার বলে ক্লাবের সম্পাদক হবেন। সম্পাদক ক্লাবের সুষ্ঠ ুকার্যক্রম পরিচালনা এবং এর দৈনন্দিন কর্মকা- সম্পাদনের ব্যবস্থা করবেন। ক্লাবের মাধ্যমে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য যথাযথভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে কিনা তিনি তা লক্ষ্য রাখবেন। তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি নির্ধারিত অন্যান্য কর্মকা-ও সম্পাদন করবেন। তিনি কোন তফসীলী ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাব কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথভাবে পরিচালনা করবেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মধ্যে কোষাধ্যক্ষের সহায়তায় বাজেট প্রণয়ন করবেন এবং অনুমোদনের জন্য ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে এবং পরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে পেশ করবেন। সম্পাদক ক্লাব সদস্যদের নিবন্ধন বই সংরক্ষণ করবেন এবং ক্লাব নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা তৈরি করবেন। ছোটখাটো ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি সর্বাধিক টাকা ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) হাতে রাখতে পারবেন। সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ক্লাব কমিটির যে কোন সদস্যকে তার কিছ ুদায়িত্ব ও কর্তব্য ন্যস্ত করতে পারেন। তিনি ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ক্লাব সদস্যদের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গন ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে একটি উপ কমিটি গঠন করা যাবে।
ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন।
৯। সাধারণ সভা
সম্পাদক দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মধ্যে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে চলতি বছরের বাজেট এবং পূর্ববর্তী বছরে নিরীক্ষিত হিসাব নিকাশ অনুমোদনের জন্য অন্ততঃপক্ষে ৭ (সাত) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে একটি সাধারণ সভা আহবান করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি যদি কখনও প্রয়োজন বোধ করে তাহলে বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি সাধারণ সভা আহবান করতে পারবে এবং তাতে অন্ততঃপক্ষে ৩ (তিন) দিনের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন হবে।
১০। তলবী সভা
কোন সুনির্দিষ্ট বিষয় বা বিষয়সমূহের ব্যাপারে আলোচনার জন্য ক্লাব সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে একটি সাধারণ সভার দাবী জানাতে পারে। সম্পাদক ঐ দাবী ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন অতঃপর ৭ (সাত) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে একটি সাধারণ সভা আহবান করা যাবে।
১১। কর্যিনির্বাহী
কমিটির সভাসমূহ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শ করে ২(দুই) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করবেন। জরুরি সভা আরো সংক্ষিপ্ত সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে আহবান করা যাবে।
১২। অতিরিক্ত সভা সম্পাদক সভাপতির পরামর্শ মোতাবেক ক্লাবের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় আলোচনার জন্য সাধারণ সভা বা কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবানে ব্যর্থ হলে সভাপতি স্বয়ং তা আহবান করতে পারবেন। ১৩। কোরাম সাধারণ সভার জন্য কোরাম গঠিত হবে ক্লাবের মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে। অপরদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার জন্য ৪ (চার) জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে এবং তলবী সভার কোরাম পূর্ণ করতে মোট সদস্যের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। কোরামের অভাবে যদি যথাসময়ে সাধারণ ও তলবী সভা শুরু করা না যায়, তাহলে ঐ সভা পূর্ব নির্ধারিত তারিখের ৭(সাত) দিন পর একই স্থানে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং তার জন্য কোন বিজ্ঞপ্তি বা কোরামের প্রয়োজন হবে না।
১৪। ক্লাবের নির্বাচন ক. সম্পাদক পদ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রতি বছর বৈশাখ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। খ. পদে আসীন কার্যনির্বাহী কমিটি, কোন পদে প্রার্থী হবেন না এমন ক্লাব সদস্যদের মধ্য থেকে ৩ (তিন) সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। গ. গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়ম পদ্ধতি প্রণয়ন করবেন। ঘ. কেবলমাত্র নিয়মিত সদস্যগণই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার ও ভোটাধিকার সংরক্ষণ করেন। ঙ. নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্ততঃপক্ষে ১৫(পনের) দিনের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন হবে। চ. নির্বাচন সংক্রান্ত কোন বিতর্কিত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। ছ. নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটি নব-নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
১৫। ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন সিইসি, কেআইবি কর্তৃক ১১ সদস্য বিশিষ্ট ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হবে।
১৬। সদস্যপদ স্থগিত যদি কোন সদস্য (সাধারণ/সহযোগী) (১) বিদেশে অবস্থান করেন অথবা (২) ছুটি নেন অথবা (৩) ছয় মাসের অধিককালের জন্য নতুন কার্যভার নিয়ে অন্যত্র গমন করেন তাহলে তিনি ঐ সময়ের জন্য সদস্যপদ স্থগিত বা মূলতবী রাখার আবেদন করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি এ ধরনের আবেদন বিবেচনা করবে এবং ঐ উল্লিখিত মেয়াদের জন্য তার সদস্য পদের ফি পরিশোধ করা থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে। উপরোক্ত তিন কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে সদস্যপদ স্থগিতের আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
১৭। সদস্যপদ বাতিল ক) কোন সদস্য পূর্ববর্তী বৎসরের চাঁদা পরবর্তী বৎসরের ৩১ মার্চ এর মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার সদস্যপদ বাতিল বলে বিবেচিত হবে। তবে সদস্যপদ বাতিলের পর সংশ্লিষ্ট সদস্য পরবর্তী ২(দুই) মাসের মধ্যে সম্পাদক বরাবরে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সমুদয় বকেয়া চাঁদা পরিশোধ পূর্বক সদস্যপদ নবায়ন করতে পারবেন। খ) একজন সদস্য সম্পাদককে লিখিতভাবে জানিয়ে তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করতে পারবেন।
গ) কার্যনির্বাহী কমিটি ক্লাবের স্বার্থহানীকর কর্মকা-ের দরুন কোন সদস্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারবে। গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে।
১৮। সদস্যপদে পুনঃভর্তি কোন ব্যক্তি যিনি তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করেছেন বা যথাসময়ে ফি পরিশোধ না করায় যার সদস্যপদ স্থগিত/বাতিল করা হয়েছে, তিনি সদস্য হিসাবে পুনঃভর্তির জন্য সম্পাদক বরাবরে লিখিত আবেদন করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় এ ধরণের আবেদন বিবেচনা করা হবে। পুনঃভর্তির জন্য ভবিষ্যতে নিয়মিত প্রাপ্য পরিশোধ করা হবে মর্মে হলফনামাসহ পূর্বের সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনা
১। নাম কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর গঠনতন্ত্রের ৫(ঠ) ধারায় বর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এবং গঠনতন্ত্রের ৬(ঘ) ধারার বিধান অনুসারে কল্যাণ তহবিল গঠনের জন্য এবং যেহেত ু২৫ জুলাই, ১৯৯৬ অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় কল্যাণ তহবিলের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং তার জন্য আরো অর্থ সংগ্রহের জন্য পুনরায় সিদ্ধান্ত হয়, সেহেত ুকৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এর অধীনে ‘কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়।
২। উদ্দেশ্য ক) আপৎকালে সকল কৃষিবিদ ও তাদের পরিবারবর্গকে সম্ভাব্য সেবাদান। খ) বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকা- আয়োজনের মাধ্যমে কৃষিবিদদের সন্তানদিগকে আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়তা দেয়া। গ) কৃষিবিদদের উচ্চ মেধাবি ও অসহায় সন্তানদিগকে শিক্ষা বৃত্তি মঞ্জুর করা।
৩। উপযুক্ততা কেবলমাত্র ‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’ এ অন্তর্ভুক্ত কৃষিবিদগণই ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে সহায়তা/মঞ্জুরীর জন্য আবেদন করার যোগ্য হবেন।
৪। তহবিলের উৎস ক) গঠনতন্ত্রের ধারা ৬(ঘ) এ উল্লিখিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সাধারণ তহবিল থেকে ২০% মঞ্জুরী।
খ)কৃষিবিদদের অনুদান।
গ)দেশ-বিদেশের জনহিতৈষী ব্যক্তি/সংস্থা থেকে অনুদান ও মঞ্জুরী।
ঘ)অন্য কোন উৎস থেকে আয়
৫। কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নোক্ত সদস্যদের নিয়ে গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ‘ কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবেঃ সভাপতি ১ সহ-সভাপতি ১ কোষাধ্যক্ষ ১ সম্পাদক ১ যুগ্ম সম্পাদক ১ সদস্য ২+২ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তার কার্যমেয়াদের প্রথম সভাতেই ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সহ-সভাপতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারে সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক হিসাবে কাজ করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে দু’জন সদস্য এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে দু’জনকে সদস্য মনোনয়ন দিতে হবে।
৬। কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকাল কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকাল হবে দুই ইনস্টিটিউশন বছর। পরবর্তী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের সাথে সাথে কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকাল শেষ হবে।
৭। কার্যনির্বাহী কমিটির কাজ ও দায়িত্ব ক) সভাপতিঃ তিনি অত্র ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহ এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
খ) সহ-সভাপতিঃ সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভাপতির সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) কোষাধ্যক্ষঃ তিনি ফাউন্ডেশনের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি সকল আয়- ব্যয়ের হিসাব অডিট করবে। সভাপতি ও সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে তিনি সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন।
ঘ) সম্পাদকঃ (১) কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল উন্নয়নের সকল কর্মসূচি গ্রহণের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে সম্পাদকের উপর। (২) তিনি কৃষিবিদদের সন্তানাদির জন্য সকল সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি আয়োজন করবেন এবং (৩) তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর কাছে ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকা-ের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঙ) যুগ্ম সম্পাদকঃ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সম্পাদকের সকল কাজ সম্পাদন করবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক তার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
চ) সদস্যঃ কমিটির সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেবেন।
৮। কোরাম কার্যনির্বাহী কমিটির সভার জন্য অন্ততঃপক্ষে ৫ জন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
৯। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা সভাপতির সাথে পরামর্শ করে সম্পাদক ৩ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে ফাউন্ডেশনে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করবেন। তবে জরুরি সভা আরো স্বল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে আহবান করা যাবে। একটি ইনস্টিটিউশন বছরে কার্যনির্বাহী কমিটির অন্ততঃ ৬টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১০। কোন সদস্যের ৬ মাসের অধিক অসুস্থতা, বিদেশে অবস্থান, ছুটি, নতুন কোন দায়িত্বে অন্যত্র গমনজনিত অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটি তার স্থলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে অন্য কাউকে ঐ পদে মনোনয়ন দিতে পারবে।
১১। কোন কৃষিবিদকে মঞ্জুরী দান বা কোন কৃষিবিদের সন্তানকে বৃত্তি দেয়ার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির সুপারিশকৃত আবেদন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। সাহায্যের জরুরি আবশ্যকতার ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী কমিটির সুপারিশকৃত আবেদনের ব্যাপারে সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও মহাসচিবের সাথে পরামর্শপূর্বক কার্যনির্বাহী কমিটিতে পরবর্তীতে অনুমোদন করার শর্তে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
১২। নিকটবর্তী কোন তফসীলী ব্যাংকে একটি স্বতন্ত্র সঞ্চয়ী হিসাব খুলে কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে তা পরিচালিত হবে।
Certified that this printed copy is the constitution of Krishibid Instituion, Bangladesh amended till 19th December 2003 approved in the General Meeting held on 19.12.03. at the Bangladesh Agricultural Research Council Auditorium, Dhaka of Agriculturists Institution, Bangladesh.
Kbd. Rafique Ahmed & Kbd. Anwarunnabi Majumder
Secretary General