কৃষি-স্নাতকদের জাতীয় ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিজ্ঞানী সম্মেলনে (Scientist Convention) “ইস্ট পাকিস্তান এগ্রিকালচারাল এসোসিয়েশন” নামে একটি সমিতি গঠিত হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধ-পরবর্তী ২ জানুয়ারি ১৯৭২, কৃষি ভবন প্রাঙ্গণ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় সমিতির নতুন নাম হয় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৮ অনুযায়ী সমিতি গঠনের অধিকার ও সুযোগ সংরক্ষিত। কয়েকজন কৃষি গ্র্যাজুয়েটের স্বাক্ষরিত আবেদনের ভিত্তিতে একটি উপ-কমিটি গঠিত হয়, যা সম্মত নিয়ম-কানুন মেনে গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়ন করে।
১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩-এর বিশেষ সাধারণ সভায় আরেকটি উপ-কমিটি গঠিত খসড়া গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে।
উপর্যুক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ১২ এপ্রিল ১৯৭৩, ঢাকায় বিশেষ সাধারণ সভায় “বাংলাদেশ কৃষিবিদ সমিতি”-র গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয় এবং উক্ত তারিখ থেকেই সারা দেশে কার্যকর ঘোষণা করা হয়।
সময়ের প্রয়োজন বিবেচনায় বিভিন্ন অধ্যায় ও বিধি সংশোধিত হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনসমূহ: ২০ জানুয়ারি ১৯৮১—নাম “বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন”; ৫ মার্চ ১৯৯২—রূপান্তর “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ”; ১৩ আগস্ট ১৯৯৩—নামটিতে ‘ইনস্টিটিউশন’ ও ‘বাংলাদেশ’-এর মাঝে কমা সংযোজন ও লোগোতে প্রতিফলন; ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪—কমা অপসারণ; চূড়ান্ত নাম: “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)”。
১. নাম
ইনস্টিটিউশনের নাম: কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)। ইংরেজি নাম: Agriculturist Institution Bangladesh।
২. কেন্দ্রীয় কার্যালয়
ইনস্টিটিউশন চত্বর, কৃষি খামার সড়ক, ফার্মগেট, ঢাকা–১২১৫।
৩. ভাষা
দাপ্তরিক ভাষা বাংলা; আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও গঠনতন্ত্রের ইংরেজি সংস্করণ প্রযোজ্য থাকবে।
৪. প্রতীক/মনোগ্রাম
চারটি ভ্রূণ ও চারটি তীরের সম্মুখমুখি বিন্যাস—উৎপাদন ও অগ্রগতির প্রতীক। চারদিকে বাংলায় “কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ”; রঙ: ভ্রূণ/তীর/বৃত্তবন্ধ—কালো/সবুজ/লাল (আভ্যন্তরীণ আধাবৃত্ত কালো, বাহ্যিক বৃত্ত লাল)।
৫. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক) সংবিধানসম্মতভাবে কৃষিবিদ, কৃষক ও কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন।
খ) আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি কৃষকের কাছে হস্তান্তর; তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ।
গ) কৃষি শিক্ষা–গবেষণা–প্রশিক্ষণ–সম্প্রসারণে সেবা; পৃথক ইনস্টিটিউট স্থাপন ও শর্তানুযায়ী সনদ প্রদান।
ঘ) সদস্যদের অধিকার-সুবিধা সুরক্ষা; জাতীয়/সামাজিক/নৈতিক/পেশাগত দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধকরণ।
ঙ) সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সংহতি, পেশাগত মর্যাদা ও আচরণমান সমুন্নত রাখা।
চ) আলোচনা, বক্তৃতা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা; সাময়িকী/জার্নাল/গ্রন্থ প্রকাশনা—বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও পেশাদক্ষতা বৃদ্ধি।
ছ) পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য লাঘবে কর্মসূচি; সরকারের উদ্যোগে সহযোগিতা।
জ) কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকদের সমস্যা চিহ্নিতকরণ; সমাধানপ্রয়াস ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারকে সুপারিশ।
ঝ) সরকারি–বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক ও পেশাগত পরামর্শ।
ঞ) দেশ–বিদেশের পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সহযোগিতা ও সমঝোতা।
ট) দুর্যোগকালীন স্বেচ্ছাসেবা।
ঠ) দুঃসময়ে সদস্য ও পরিবারের আপৎকালীন সহায়তা; কল্যাণ তহবিল গঠন।
ড) দেশি–বিদেশি কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সহযোগিতা।
ঢ) মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি; কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তা/কৃষকদের পুরস্কার ও পদক।
ণ) লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম।
৬. ইনস্টিটিউশনের তহবিল
ক) সাধারণ তহবিল: প্রবেশ ফি ব্যতীত অন্যান্য চাঁদা, দান/অনুদান, আমানতের মুনাফা, সম্পদ আয়—তফসিলী ব্যাংকে সংরক্ষণ।
খ) স্থায়ী আমানত তহবিল: প্রবেশ ফি ও জীবন সদস্যদের চাঁদা + সাধারণ তহবিলের কমপক্ষে ১০% স্থায়ী আমানত।
গ) সংরক্ষিত তহবিল: মোট আয়ের কমপক্ষে ১০% সংরক্ষণ।
ঘ) কল্যাণ তহবিল: বিশেষ দান, সাধারণ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ২০% মঞ্জুরী, অন্যান্য উৎসের অনুদান—স্বতন্ত্র হিসাবে সংরক্ষণ; অস্বচ্ছল/বিয়োগান্তে পরিবারকে আপৎকালীন সহায়তা।
৭. শাখাসমূহ
ক) সরকারি স্বীকৃত প্রতিটি জেলা—জেলা শাখা (ন্যূনতম ১৫ জন সদস্য)।
খ) স্বীকৃত মহানগর—একটি শাখা (ন্যূনতম ৫১ জন সদস্য)।
গ) যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়—বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ন্যূনতম ৫১ জন সদস্য)।
ঘ) বিদেশ—বিদেশি শাখা (ন্যূনতম ৫১ সদস্য); জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আইনের আলোকে ভোটদানে অংশগ্রহণের বিধান পৃথক।
৮. সম্পদ ব্যবস্থাপনা
সকল সম্পদ সাধারণ পরিষদ (GB)-এর নিকট ন্যস্ত। GB-এর অনুমোদন ছাড়া কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর/বন্ধক/বিক্রয় বৈধ নয়। সদস্যদের মধ্যে লভ্যাংশ/বোনাস প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যথাযথ রেজিস্টারে সম্পদ লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ আবশ্যক।
৯. কার্যক্রম
ক) কৃষিসংশ্লিষ্ট বুলেটিন/জার্নাল/সাময়িকী/গ্রন্থ প্রকাশ।
খ) আলোচনা সভা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ।
গ) ভবন নির্মাণ/ভূমি ক্রয়/ভাড়া/বন্ধক/বিক্রয়—ইনস্টিটিউশনের স্বার্থে।
ঘ) কেআইবি/কেআইবি কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন (এইচআর/ফিন্যান্স)।
ঙ) কৃষি শিক্ষা–প্রশিক্ষণ–গবেষণা–সম্প্রসারণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (বিধিমালা অনুসারে)।
চ) অফিস, লাইব্রেরি, রিডিং রুম, ক্লাব, অডিটরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম ও অন্যান্য ভৌত সুবিধা রক্ষণাবেক্ষণ।
ছ) তহবিল গঠনে চাঁদা সংগ্রহ; প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ।
জ) তহবিলের অংশ বিনিয়োগ।
ঝ) নতুন শাখা/ভবন স্থাপন।
ঞ) রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থী কোনো বিধি/উপবিধি অবৈধ গণ্য।
ট) সদস্যদের আর্থিক মুনাফাকেন্দ্রিক ব্যবসায় সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ; কেবল অনুমোদিত ভাতা প্রযোজ্য।
ঠ) কেআইবি কমপ্লেক্স নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা।
ড) সিইসি সিদ্ধান্তে টিএ/ডিএ প্রদান।
১০. পরিভাষা
ইনস্টিটিউশন (কেআইবি), গঠনতন্ত্র, কমিটি (সিইসি), সদস্য (সাধারণ/জীবন/সম্মানী), কাউন্সিল, সাধারণ পরিষদ, নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি, অর্থবছর (৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত), সাধারণ সীলমোহর, কার্যকাল (দুই ক্যালেন্ডার বর্ষ), কৃষিবিদ (ইউজিসি-স্বীকৃত/বিদেশি সমমান), শাখা, ইনস্টিটিউশন বর্ষ, কর্মকর্তা, নিয়মিত সদস্য—প্রযোজ্য সংজ্ঞা।
১১. ব্যাখ্যা
গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত অর্থই চূড়ান্ত।
১২. সদস্যপদ নিবন্ধন
ধারা ১০(ট) অনুসারে কৃষিবিদ—ফি প্রদান সাপেক্ষে—নির্ধারিত ফরমে শাখা সাধারণ সম্পাদক/গ্রহণযোগ্য সদস্যের প্রস্তাব-সমর্থনসহ আবেদন করবেন। মহাসচিব যাচাই করে সিইসি-তে উপস্থাপন করবেন; অনুমোদিত হলে নিবন্ধন বইতে অন্তর্ভুক্ত।
১৩. সদস্যের ধরন
ক) সাধারণ সদস্য—সংজ্ঞানুসারে নিবন্ধিত সব কৃষিবিদ।
খ) জীবন সদস্য—টানা ৫ বছর সেবা; ধারা ১৯(ক)-এ নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ।
গ) সম্মানী সদস্য—কৃষি/সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃতিত্ব; ন্যূনতম ২৫ সদস্যের প্রস্তাব, সিইসি অনুমোদন, সম্মতি গ্রহণ ও সাধারণ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন। ভোটাধিকার থাকবে না।
১৪. সদস্যপদ স্থগিত ও পুনঃসদস্যকরণ
ক) পরপর ২ বছরের চাঁদা পরিশোধ না করলে সদস্যপদ স্থগিত—সমুদয় বকেয়া ও প্রবেশ ফি দিয়ে পুনঃসক্রিয়; বিশেষ ক্ষেত্রে সিইসি বকেয়া মওকুফ করতে পারে।
খ) ২ বছর বকেয়া থাকলে নির্বাচন-সংক্রান্ত সব যোগ্যতা ও সুবিধা স্থগিত।
গ) কেআইবি-সমান্তরাল/প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন করলে সদস্যপদ বাতিল।
১৫. পদত্যাগ
শাখা সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে মহাসচিবের নিকট লিখিত পদত্যাগ; সিইসি অনুমোদনের তারিখ থেকে কার্যকর; অনুমোদনের আগে প্রত্যাহারযোগ্য।
১৬. সদস্যপদ বাতিল
মৃত্যু/পদত্যাগ/বহিষ্কার।
১৭. বহিষ্কার
কমপক্ষে ২০ সদস্যের লিখিত অভিযোগে তদন্ত কমিটি (৫ সদস্য)। যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে শুনানি; কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় শাস্তি/বহিষ্কার। অন্তর্বর্তীতে সিইসি সদস্যপদ স্থগিত করতে পারে। পুনর্বিবেচনার আবেদনযোগ্য।
১৮. অধিকার ও সুবিধা
গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সকল সদস্য সমঅধিকারী; কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকার।
১৯. ফি ও চাঁদা
ক) সাধারণ সদস্য: নিবন্ধন ১০০ টাকা, বার্ষিক ৩০০ টাকা; জীবন সদস্য: এককালীন ৫,০০০ টাকা; সনদ ফি ১,০০০ টাকা (বকেয়া থাকলে পরিশোধসাপেক্ষে)।
খ) কেআইবি কমপ্লেক্স সুবিধা পেতে জীবন সদস্য/নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী হতে হবে।
২০. সার্বিক ব্যবস্থাপনা
কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (সিইসি)-এর ওপর ন্যস্ত।
২১. কাউন্সিল
শাখাভিত্তিক নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ; প্রতি ২০ সদস্য বা তার ভগ্নাংশে ১ কাউন্সিলর। সিইসি সদস্য ও শাখা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে সদস্য। কার্যকাল: ২ ইনস্টিটিউশন বছর। বছরে অন্তত ২ অধিবেশন—বাজেট/কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন; নিরীক্ষিত হিসাব, বাস্তবায়ন মূল্যায়ন।
ক) সভাপতি: সিইসি সভাপতি; অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি/সহ-সভাপতি/মনোনীত সিনিয়র সদস্য।
খ) কোরাম: ন্যূনতম ১০০ কাউন্সিলর।
গ) মহাসচিব: কাউন্সিল মহাসচিব; সভাপতির সম্মতিতে সভা আহ্বান, এজেন্ডা প্রণয়ন ও রিপোর্ট উপস্থাপন।
ঘ) সিদ্ধান্ত: সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ; গঠনতন্ত্র সংশোধনে উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ।
ঙ) প্রস্তাব উত্থাপন: সভাপতির/সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে।
চ) কার্যপ্রণালী-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সভাপতির।
ছ) আহ্বান নোটিশ: অন্তত ২১ দিন আগে; বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক/অনলাইন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি।
জ) নীতি নির্ধারণে সহায়তা, জাতীয়/পেশাগত ইস্যু, নির্বাচন, বিশেষ তহবিল বিষয়ে সিইসি-কে পরামর্শ।
ঝ) তলবী অধিবেশন: অন্তত ৫০ কাউন্সিলরের লিখিত আবেদনে; ৩০ দিনের মধ্যে আহ্বান।
ঞ) বিতর্কিত বিষয়ে সাধারণ সভায় প্রেরণ।
ট) নবগঠিত শাখা/অধিভুক্তি অনুমোদন।
ঠ) শাস্তিমূলক বিষয়ে (সভাপতি/মহাসচিব ব্যতীত) সিদ্ধান্ত।
ড) সিইসি ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
ঢ) পেশাগত এসোসিয়েশন অধিভুক্তির প্রক্রিয়া।
২২. সিইসি (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি) কাঠামো
নিয়মিত সদস্যদের ভোটে গঠিত ৩৭ সদস্যের সিইসি:
সভাপতি ১
সিনিয়র সহ-সভাপতি ১
সহ-সভাপতি ৩ (এর একটি নারীসংরক্ষিত)
মহাসচিব ১
যুগ্ম মহাসচিব ৩ (এর একটি নারীসংরক্ষিত)
কোষাধ্যক্ষ ১
সাংগঠনিক সম্পাদক ১
দপ্তর সম্পাদক ১
সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১
ক্রীড়া সম্পাদক ১
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১
প্রচার সম্পাদক ১
গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ১
কারিগরি ও গবেষণা সম্পাদক ১
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১
নারী বিষয়ক সম্পাদক ১
কৃষি পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ১
কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ১
সদস্য ১৪
পূর্বতন সভাপতি ও মহাসচিব পদাধিকার বলে সদস্য।
২৩. কার্যকাল ও কোরাম
সিইসি/কাউন্সিল/শাখা কমিটি—২ ইনস্টিটিউশন বছর; কোরাম: সদস্যের এক-তৃতীয়াংশ; মুলতবি সভায় কোরাম প্রযোজ্য নয়।
২৪. প্রার্থীতা সীমা
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যতীত একই পদে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ।
২৫. পদ শূন্য ও পূরণ
ক) পরপর ৪ সভায় অনুপস্থিতি—কারণ দর্শানো; অগ্রহণযোগ্য হলে সাময়িক স্থগিত; সিইসি ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের মধ্যে বিশেষ কাউন্সিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত; শাখায় ৩০ দিনের মধ্যে সাধারণ সভায়।
খ) মৃত্যু/পদত্যাগ/বহিষ্কার/অন্যান্য কারণে শূন্যতা—৪৫ দিনের মধ্যে নিয়মিত সদস্যকে কো-অপ্ট করে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পূরণ; পরবর্তী কাউন্সিলে অনুমোদন।
গ) শাখায় ৩০ দিনের মধ্যে পূরণ ও কেন্দ্রকে অবহিত।
২৬. সিইসি-র কাজ
ইনস্টিটিউশনের সার্বিক পরিচালনা; মাসিক অন্তত ১ সভা (বছরে ≥১২); পেশার মর্যাদা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন; প্রয়োজনে উপ-কমিটি; শাখাগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা।
২৭. কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
ক) সভাপতি—সকল উচ্চপর্যায়ের সভায় সভাপতিত্ব; গঠনতন্ত্র বাস্তবায়ন; মহাসচিবের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষরে বিবৃতি/চুক্তি।
খ) সিনিয়র সহ-সভাপতি/সহ-সভাপতি—অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন; সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব।
গ) মহাসচিব—নির্বাহী প্রধান; সভা আহ্বান (সাধারণ ৭ দিন, জরুরি ৪৮ ঘণ্টা/আরও কম), নথি সংরক্ষণ, কার্যবিবরণী, বিল-পাস, পাওনা পরিশোধ, কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথ চেক স্বাক্ষর, সম্পাদকদের কাজ সমন্বয়।
ঘ) যুগ্ম মহাসচিব—মহাসচিবকে সহায়তা; অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত; কার্যবিবরণীতে সহায়তা।
ঙ) কোষাধ্যক্ষ—আয়-ব্যয় ও হিসাব; রাষ্ট্রায়ত্ত/তফসিলী ব্যাংকে হিসাব (মহাসচিবের সাথে যৌথ); ত্রৈমাসিক রিপোর্ট; বাৎসরিক বাজেট; নিরীক্ষা সমন্বয়।
চ) সাংগঠনিক সম্পাদক—শাখা সম্প্রসারণ, সদস্য নিবন্ধন, শাখাসমূহ সক্রিয়করণ, কেন্দ্র–শাখা যোগাযোগ।
ছ) দপ্তর সম্পাদক—দাপ্তরিক নথি সংরক্ষণ, চিঠিপত্র নোটসহ মহাসচিবকে পেশ, শাখা যোগাযোগ, সম্পদ ও জনবল তদারকি।
জ) সমাজকল্যাণ সম্পাদক—কল্যাণ তহবিল পরিচালনা, দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবা, কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পদাধিকারী সম্পাদক।
ঝ) ক্রীড়া সম্পাদক—অভ্যন্তরীণ/বহিরাঙ্গন ক্রীড়া; কৃষিবিদ ক্লাব ব্যবস্থাপনা (উপবিধি অনুসারে)।
ঞ) সাংস্কৃতিক সম্পাদক—সাংস্কৃতিক/ধর্মীয়/ঐতিহ্যিক অনুষ্ঠান।
ট) প্রচার সম্পাদক—জার্নাল/পোস্টার/প্রেস বিজ্ঞপ্তি; মিডিয়া যোগাযোগ (মহাসচিবের অনুমোদনে)।
ঠ) গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক—লাইব্রেরি সংগ্রহ; প্রকাশনা উপ-কমিটি/সম্পাদনা পরিষদ পরিচালনা।
ড) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক—ভ্রাতৃপ্রতীম সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রম।
ঢ) কারিগরি ও গবেষণা সম্পাদক—গবেষণা তথ্য, সেমিনার/কর্মশালা/সিম্পোজিয়াম; প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
ণ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক—ওয়েবসাইট, ডাটাবেজ, আইসিটি কার্যক্রম।
ত) নারী বিষয়ক সম্পাদক—নারী কৃষিবিদদের কর্মসংস্থান/অংশগ্রহণ/অধিকার রক্ষা।
থ) কৃষি পরিবেশ সম্পাদক—পরিবেশ তথ্য, সচেতনতা, অনুষ্ঠানাদি।
দ) কৃষি শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক—তথ্য সংগ্রহ, উদ্যোক্তা উৎসাহ, প্রয়োজনীয় সহায়তা।
ধ) সদস্যগণ—সম্পাদকদের কর্মসম্পাদনে পরামর্শ/সহযোগিতা।
২৮. সিইসি সভা পরিচালনা
মহাসচিব আহ্বায়ক; সাধারণত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ভোটাধিকার—সকল কর্মকর্তা/সদস্যের ১টি; সভাপতির কাস্টিং ভোট। এজেন্ডা সংযোজন—১/৩ লিখিত দাবিতে/৫ সদস্যের নোটিশে পরবর্তী সভায়। কোরাম ব্যতীত সভা নয়; মুলতবিতে কোরাম নেই। জরুরি বিষয়ে লিখিত মতামত নিয়ে সভাপতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত; পরবর্তী সভায় অবহিত। কার্যবিবরণী বইতে লিপিবদ্ধ, অনুমোদন-পরবর্তী স্বাক্ষর ও প্রচার।
২৯. সভাপতির রুলিং
পয়েন্ট অব অর্ডার বিষয়ে সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
৩০. সভা আহ্বান পদ্ধতি
ক) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)—মহাসচিব আহ্বায়ক; অন্তত ৩০ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি; জাতীয় বাংলা/ইংরেজি দৈনিক/অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ। আলোচ্য: ধর্মগ্রন্থ পাঠ, বার্ষিক রিপোর্ট/অডিট অনুমোদন, ইসি (প্রয়োজনে), গঠনতন্ত্র সংশোধনী, অডিটর (প্রয়োজনে), বিবিধ।
খ) কনভেনশন—প্রতি বিকল্প বছর এজিএম-এর সঙ্গে; আলোচ্য: ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ভাষণ, ডিপ্লোমা/পদক প্রদান, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ/আলোচনা, সমকালীন কৃষি বিষয়ে সেমিনার/কর্মশালা/সিম্পোজিয়াম।
গ) এজিএম কোরাম—কমপক্ষে ৩০% শাখা প্রতিনিধিত্বকারী ৩০০ তালিকাভুক্ত সদস্য।
ঘ) জরুরি সাধারণ সভা—৩০% শাখা প্রতিনিধিত্বকারী ১৫০ সদস্যে কোরাম।
ঙ) তলবী সাধারণ সভা—নিয়মিত সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশের লিখিত দাবিতে; ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি।
৩১. শাখা গঠন ও কার্যপরিধি
ক) গঠনতন্ত্র/প্রয়োজন অনুসারে শাখা গঠন।
খ) শাখা কমিটি (জেলা): সভাপতি ১, সহ-সভাপতি ২, সাধারণ সম্পাদক ১, সহ-সাধারণ সম্পাদক ১, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১, কোষাধ্যক্ষ ১, সদস্য ৭ (মোট ১৫)।
মেট্রোপলিটন শাখা: সভাপতি ১, সহ-সভাপতি ২, সাধারণ সম্পাদক ১, সহ-সাধারণ সম্পাদক ২, সাংগঠনিক ১, দপ্তর ১, মহিলা ১, সমাজকল্যাণ ১, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ১, কোষাধ্যক্ষ ১, সদস্য ৭ (মোট ১৯)।
গ) শাখা সাধারণ সম্পাদক—সভা আহ্বান; সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি/জ্যেষ্ঠ সদস্য সভাপতিত্ব; সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন।
ঘ) কোরাম—কার্যনির্বাহী কমিটিতে ১/৩; সাধারণ সভায় নিয়মিত সদস্যের ১/৩; মুলতবিতে কোরাম নেই।
ঙ) গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন/স্বার্থবিরোধে কেন্দ্র সিইসি শাখা কমিটি বিলুপ্ত/অ্যাডহক কমিটি।
চ) শাখা তহবিল—রসিদভিত্তিক উত্তোলন; সঞ্চয়ী হিসাব (কোষাধ্যক্ষ+সাধারণ সম্পাদক যৌথ পরিচালনা)। সংগৃহীত চাঁদার ১/৩ ও সম্পূর্ণ নিবন্ধন ফি কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষের কাছে ভাউচারে হস্তান্তর। তহবিলের ওপর সভাপতির নিয়ন্ত্রণ।
ছ) সমাজকল্যাণ/সাংগঠনিক/দপ্তর/ক্রীড়া–সাংস্কৃতিক সম্পাদক—কেন্দ্রীয় সমমানের ক্ষমতা ও কাজ।
জ) শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা—ধর্মগ্রন্থ পাঠ, বার্ষিক রিপোর্ট/অডিট অনুমোদন, কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট, বিবিধ।
৩২. তহবিল
ক) চার তহবিল—সাধারণ/স্থায়ী আমানত/সংরক্ষিত/কল্যাণ।
খ) সংরক্ষিত তহবিলের অংশ—ঝুঁকিহীন সরকারি বন্ড/সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ।
গ) কাউন্সিলের পূর্বানুমতি ব্যতীত স্থায়ী আমানত/সংরক্ষিত তহবিল ব্যয় নয়।
ঘ) ব্যাংক হিসাব—মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর সভাপতির সত্যায়িত; সীল ব্যবহার।
ঙ) প্রয়োজন হলে সভাপতি ব্যাংক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে পারবেন।
চ) সভাপতি সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০ টাকা এককালীন অগ্রিম অনুমোদন দিতে পারেন।
ছ) মহাসচিব দৈনন্দিন কাজে সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ টাকা নগদ অনুমোদন/ব্যয় করতে পারেন।
জ) এসব ব্যয় পরবর্তী সিইসি সভায় অনুমোদন উপস্থাপন।
ঝ) কনভেনশন/জরুরিতে বিশেষ তহবিল; অনুমোদিত অডিট; সিইসি-তে রিপোর্ট।
৩৩. নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন
এজিএম-এ চেয়ারম্যান ১ ও সদস্য ৬—মোট ৭ জন; সবাই নিয়মিত সদস্য; চেয়ারম্যান ও অন্তত ২ সদস্য ঢাকায় বসবাসকারী। ইসি সদস্য/চেয়ারম্যান কেউ সিইসি/শাখা কমিটি/কাউন্সিলর পদে প্রার্থী/প্রস্তাবক/সমর্থক হতে পারবেন না। চেয়ার/সদস্য শূন্য হলে কো-অপ্ট প্রক্রিয়া। নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য। সিইসি/কাউন্সিল/শাখা নির্বাচন প্রতি ২ বছর; মেয়াদশেষের ≥১৫ দিন আগে। অদৃষ্টপূর্ব কারণে ৯০ দিনের মধ্যে পুনঃতফসিল; চরম পরিস্থিতিতে ৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি (তারা প্রার্থী হতে পারবেন না)। শাখাসমূহ বৈধ ভোটার তালিকা পাঠাবে; কেন্দ্র একত্রিত করে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ইসিকে দেবে। বদলি/প্রেষণ/প্রশিক্ষণ/অবসরে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন ইসির অনুমতিসাপেক্ষ।
৩৪. ইসির দায়িত্ব
তারিখ/তফসিল/ভোটার তালিকা/মনোনয়নপত্র; বাছাই ও ব্যালট প্রস্তুত; স্থান–সময়সূচি; প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ; শাখাভিত্তিক রিটার্নিং/প্রিজাইডিং/পোলিং অফিসার নিয়োগ—গণনা সম্পন্ন করে সীলবন্ধে ফল ইসিতে প্রেরণ; ফলপ্রকাশ; ব্যবহৃত/অব্যবহৃত ব্যালট সীলগালাভাবে সভাপতির নিকট প্রেরণ; ডিসেম্বর ৩১-এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক ফল।
৩৫–৪১. অন্যান্য বিধান
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন না এলে ঐ পদের জন্য নতুন তফসিল; একজন ভোটার কেবল একজন প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক; প্রার্থীতা ব্যক্তিগতভাবে লিখিতভাবে প্রত্যাহারযোগ্য; শাখা মনোনয়ন/ব্যালট প্রস্তুতি ও ফল ইসিতে প্রেরণ; ভোটকেন্দ্র ন্যূনতম ৫০ ভোটার (পার্বত্য/কক্সবাজারে ২০); ঠিকানা পরিবর্তনে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন—ইসি ২০ অক্টোবর পর্যন্ত একত্রিত করে, ৫ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ; কেন্দ্র/কাউন্সিল/শাখা—একই সময়ে পৃথক ব্যালট; অনিবার্য কারণে ১৫ দিনের মধ্যে পুনঃনির্ধারণ; পোস্টার/ব্যানার/দেয়াললিখন নিষিদ্ধ; বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রচারণা শাস্তিযোগ্য; প্যানেল রাজনীতি নিষিদ্ধ; অনিয়মে ৭ দিনের মধ্যে অভিযোগ।
৪৪. ডাক ব্যালট
দেশে অসুস্থতা/প্রেষণ/প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন—সীলযুক্ত ব্যালট ফেরত; বিদেশবাসীদের জন্য ইসি চেয়ারম্যান নিবন্ধিত ডাকযোগে—প্রত্যাশিত সময়সীমা মেনে।
৪৫–৪৭. সমতা/পদ্ধতি/হস্তান্তর
সমসংখ্যক ভোটে বিশেষ পদে পুনঃনির্বাচন; ভোটপদ্ধতি ইসির এখতিয়ার; ফল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর (শাখাগুলোও অনুরূপ)।
৪৮. পৃষ্ঠপোষক
বিজ্ঞান/সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আমন্ত্রণ—সিইসি অনুমোদনে আনুষ্ঠানিক পরিবেশে।
৪৯. পদক ও পুরস্কার
কৃষিক্ষেত্রে কৃতিত্বে খেতাব/সনদ/পদক/নগদ পুরস্কার।
৫০. বিশেষ জরুরি পরিস্থিতি
জাতীয় স্বার্থে কৃষিনির্ভর সংকটে সিইসি বৈঠক; ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে যৌথ সংগ্রাম কমিটি গঠন করে পদক্ষেপ।
৫১. সালিশী
বিতর্ক সালিশে নিষ্পত্তি; সিইসি মনোনীত সালিশকারীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সিইসিতে পেশ।
৫২. গঠনতন্ত্রের সংশোধন
তর্কসাপেক্ষ যুক্তিসহ সংশোধনী—সিইসি ও কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে এজিএম-এ উপস্থাপন ও অনুমোদন।
৫৩. কেআইবি কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা
৯ সদস্যের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট; জিবি-অনুমোদিত চার্টার অব ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী সিইসি কর্তৃক গঠন ও পরিচালনা।
৫৪. উপদেষ্টা পরিষদ
সিইসি ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবে।
তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ ও হিসাব—কোষাধ্যক্ষ; জিবি/কাউন্সিল/সিইসি-র নিকট দায়বদ্ধ।
সিইসি-র নিয়ন্ত্রণে সম্পদ/বিনিয়োগ; ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন।
কাউন্সিল ও জিবি অনুমোদিত উদ্দেশ্যেই ব্যয়।
বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন/উপস্থাপন/অডিট সমন্বয়।
মাসশেষে জমা-খরচ বইয়ে স্বাক্ষর।
বিল/ভাউচার যাচাই—যৌক্তিকতা/অনুমোদন/বাজেট প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ।
সকল মঞ্জুরী/ধার্যকৃত অর্থ/চাঁদা/ফি নিয়মিত হিসাববইতে জমা।
হিসাব–রশিদ–আয়ব্যয়—গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।
চেক—মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ যৌথ স্বাক্ষরে।
বাজেট প্রণয়ন—১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর; ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিইসি অনুমোদন লক্ষ্য; খাত-অতিক্রম হলে পূর্বানুমেয় সঞ্চয় থেকে সমন্বয়; বরাদ্দ অব্যয়িত থাকলে বছরান্তে সাধারণ তহবিলে যোগ।
১. নাম
“কৃষিবিদ ক্লাব”—কেআইবি-এর অঙ্গসংগঠন।
২. উদ্দেশ্য
ক্লাব সদস্যদের জন্য খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—কেআইবি-র লক্ষ্য–উদ্দেশ্যসম্মত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড।
৩. সদস্যপদ
ক) সাধারণ—কেআইবি-র সকল সদস্য।
খ) সহযোগী—কৃষিবিদ নন, তবে কৃষি-সম্পর্কিত সংস্থা/ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞানী/কর্মকর্তা; ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনে নিবন্ধন ফি ৫০,০০০ টাকা।
গ) জীবন—(ক)-এর যোগ্য ব্যক্তি: এককালীন ১০,০০০ টাকা; (খ)-এর ব্যক্তি: কমপক্ষে ৫,০০,০০০ টাকা; শর্ত—নিয়মিত ৫ বছর সদস্য থাকা।
ঘ) সম্মানী—ধারা ৪ অনুযায়ী আবেদন; ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশ ও কেআইবি সিইসি অনুমোদনে নিবন্ধন ফি ৫০০ টাকা; ভোটাধিকার নেই, তবে জীবন সদস্যের মর্যাদা ভোগ্য।
ঙ) টংব ঈষঁন গবসনবৎ—পদস্থ/বিশিষ্ট ব্যক্তি; সিইসি অনুমোদন; দুই বছর অন্তর নবায়ন; ভোটাধিকার নেই।
৪. সদস্যপদ লাভের পদ্ধতি
নির্ধারিত ফরমে দু’জন বিদ্যমান সদস্যের প্রস্তাব–সমর্থনে সেক্রেটারির নিকট আবেদন; অনুমোদনের পর নিবন্ধন ফি জমা; বার্ষিক চাঁদা ১,০০০ টাকা (বা অধিক—সাধারণ সভায় অনুমোদনসাপেক্ষে গঠনতন্ত্রে বর্ণিত হারের নিচে নয়)।
৫. আয়ের উৎস
নিবন্ধন/বার্ষিক চাঁদা; সুইমিং পুল/জিম/ইত্যাদি থেকে আয়; অনুদান; কেআইবি-এর মঞ্জুরী। সব আয় কেআইবি-এর সাধারণ হিসেবে জমা।
৬. ব্যয়
সিইসি অনুমোদনে ব্যয়; সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষ একত্রে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা হাতে রাখতে পারবেন।
৭. ব্যবস্থাপনা কমিটি (মেয়াদ ২ বছর)
সভাপতি ১, সহ-সভাপতি ২, কোষাধ্যক্ষ ১, সম্পাদক ১, যুগ্ম সম্পাদক ১, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ১, সদস্য ৬ — মোট ১৩।
৮. কর্মকর্তাদের কাজ
সভাপতি—সভাপতিত্ব; সহ-সভাপতি—অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব ও অর্পিত কাজ; কোষাধ্যক্ষ—হিসাব/অডিট/বাজেট সহায়তা; সম্পাদক (কেআইবি ক্রীড়া সম্পাদক পদাধিকার বলে)—দৈনন্দিন পরিচালনা, বাজেট, রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব (কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথ), ক্ষুদ্র খরচের জন্য সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা; সাংস্কৃতিক সম্পাদক—অনুষ্ঠান আয়োজন; সমাজকল্যাণ সম্পাদক—সমাজসেবা; সদস্য—উপদেষ্টা/বাস্তবায়ন সহযোগিতা।
৯–১৩. সভা/কোরাম
বাজেট/অডিট অনুমোদনে সাধারণ সভা (৭ দিনের নোটিশ); জরুরিতে ৩ দিনের নোটিশ; তলবী সভা—১/৩ সদস্যের লিখিত দাবিতে; কার্যনির্বাহী কমিটির সভা—২ দিনের নোটিশ (জরুরিতে কম সময়); প্রয়োজন হলে সভাপতি নিজে সভা আহ্বান; কোরাম—সাধারণে ১/৩, কার্যনির্বাহীতে ৪ জন, তলবীতে ৫০%। কোরাম না হলে ৭ দিন পর একই স্থানে–সময়ে কোরাম ছাড়াই।
১৪. নির্বাচন
সম্পাদক পদ ছাড়া বাকি সকল পদে—প্রতি ২ বছর, ফেব্রুয়ারিতে; ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন; গোপন ব্যালট; নিয়মিত সদস্যগণের ভোট/প্রার্থীতা; ১৫ দিনের নোটিশ; বিতর্কে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত; ফল ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর।
১৫–১৭. সদস্যপদ স্থগিত/বাতিল/পুনঃভর্তি
বিদেশ/ছুটি/নতুন দায়িত্বে >৬ মাস থাকলে স্থগিতকরণে চাঁদা অব্যাহতি; ৩১ মার্চের মধ্যে চাঁদা না দিলে বাতিল (২ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধে নবায়নযোগ্য); লিখিতভাবে সদস্যপদ ত্যাগযোগ্য; শৃঙ্খলাভঙ্গ/স্বার্থহানি হলে বাতিল/স্থগিত; পুনঃভর্তি—লিখিত আবেদন, বকেয়া নিষ্পত্তি ও হলফনামা।
১. নাম
কেআইবি গঠনতন্ত্রের ধারা ৫(ঠ) ও ৬(ঘ) এবং ২৫ জুলাই ১৯৯৬ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে “কৃষিবিদ কল্যাণ ফাউন্ডেশন”।
২. উদ্দেশ্য
ক) কেআইবি সদস্য/পরিবার/বিয়োগান্তে পরিবার (পিতা–মাতা–স্বামী/স্ত্রী–সন্তান)কে আপৎকালীন সেবা।
খ) সামাজিক/শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সন্তানদের গুণগত বিকাশ।
গ) উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত মেধাবী/অসহায় সন্তানদের বৃত্তি।
৩. উপযুক্ততা
কেবল কেআইবি-অন্তর্ভুক্ত সদস্য ও উল্লিখিত পরিবারের আবেদনযোগ্যতা।
৪. তহবিলের উৎস
ক) কেআইবি সাধারণ তহবিল থেকে ২০% মঞ্জুরী (ধারা ৬(ঘ))।
খ) কৃষিবিদদের অনুদান।
গ) দেশ–বিদেশের ব্যক্তি/সংস্থার অনুদান/মঞ্জুরী।
ঘ) অন্যান্য উৎস।
৫. কার্যনির্বাহী কমিটি (সদস্যবিন্যাস)
সভাপতি ১, সহ-সভাপতি ১, কোষাধ্যক্ষ ১, সম্পাদক ১, যুগ্ম সম্পাদক ১, সদস্য ৪ (কেন্দ্রীয় সিইসি থেকে ২ + সাধারণ সদস্য থেকে ২)। সিইসি প্রথম সভায় কমিটি গঠন করবে; সিইসির একজন সহ-সভাপতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি; সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদাধিকার বলে ফাউন্ডেশনের সম্পাদক।
৬. কার্যকাল
২ ইনস্টিটিউশন বছর; পরবর্তী কেন্দ্রীয় নির্বাচনের সাথে শেষ।
৭. কাজ ও দায়িত্ব
সভাপতি—সভাপতিত্ব; সহ-সভাপতি—অপস্থিতিতে দায়িত্ব; কোষাধ্যক্ষ—আয়-ব্যয় ও অডিট; সম্পাদক—তহবিল উন্নয়ন, সামাজিক/শিক্ষামূলক কর্মসূচি, বার্ষিক রিপোর্ট; যুগ্ম সম্পাদক—অর্পিত দায়িত্ব; সদস্য—উপদেষ্টা ও বাস্তবায়ন সহযোগিতা।
৮–১২. সভা/কোরাম/অন্যান্য
কোরাম—৫ সদস্য; সম্পাদক ৩ দিনের নোটিশে সভা আহ্বান (জরুরিতে কম সময়); বছরে কমপক্ষে ৬ সভা; ৬ মাসের অধিক অনুপস্থিতিতে বিকল্প মনোনয়ন; মঞ্জুরী/বৃত্তি—সিইসি অনুমোদন; জরুরিতে সভাপতি–মহাসচিবের পরামর্শে ব্যবস্থা—পরবর্তী অনুমোদনসাপেক্ষ; নিকটবর্তী তফসিলী ব্যাংকে স্বতন্ত্র হিসাব—সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে।